অনেকের গল্প | Aneker Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গোলোকবাবু হঠাৎ তেমনই ফিসফিস করে বলে উঠলেন, ভেবে পাবেনও AT এই নিয়ে আজ সন্ধেবেলা দ্বিতীয়বার গোলোকবাবু আমাকে চমকে দিলেন। উনি কি আমার মনের কথা শুনতে পেলেন নাকি? এ তো বড় মুশকিলেই পড়া গেল তা হলে! অন্তর্যামিত্ব একটা মহৎ গুণ বটে, কিন্তু কাছাকাছি কোনও অন্তর্যামী ঘুরঘুর করলে যে আমাদের মতো পাপী-তাপীর ভীষণ অসুবিধে! মুখের কথা চেপে রাখা যায় বটে, কিন্তু মনের কথা চেপে রাখার যে কোনও উপায় নেই! গোলোকবাবু খুব চিস্তিতভাবে বললেন, আমি একটা কথা ভাবছি। বলব? বলুন। এই ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করা যায় কি? আমি মাথা নেড়ে বললাম, না। কারণ, ঘটনাটা কাকতালীয়। গোলোকবাবু আমার কথাটা বুঝে উঠতে একটু যেন বেশিই সময় নিয়ে ফেললেন। তারপর বললেন, কাকতালীয় বললে দায় এড়ানো যায় বটে। কিন্তু মনের খচখচানিটা যায় না যে! বড় মনোকষ্টে ভুগছি। আজকাল অভিসম্পাতের কোনও জোর নেই। থাকলে কানাইয়ের মায়ের শাপশাপান্তে কবেই তার ভাসুর নবকৃষ্ণ পটল তুলত। আপনি বাড়ি যান। এসব নিয়ে আর ভাববেন না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে গোলোকবাবু উঠলেন। ধীরগতি ১৮



Leave a Comment