কেউ ভোলে না কেউ ভোলে | Keu Bhole Na Keu Bhole

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে ছেলে। প্রথম যেদিন তাকে দেখলাম--দেখলাম, ঝাঁটা হাতে নিয়ে ঘর ঝাঁট দিচ্ছে। সে আজ কতদিনের কথা, তবু আজও মনে আছে, তার কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়তাম আমরা। সামান্য কথা কিন্তু বলবার ভঙ্গী তার এমনিই যে, না হেসে কেউ থাকতে পারতো না। তার কথাগুলে৷ এখন আর আমার মনে নেই। থাকবার কথাও নয়। | তবে এইটুকু শুধু মনে আছে-_নজরুলকে সে খুব ভালবাসতো। নজরুলের বিছানার চাদর কাচতো, জামায় কাপড়ে সাবান দিয়ে দিতো | ইস্কুলের ছুটির পর বইখাতা বাড়িতে রেখে কিছু খেয়েই ছুটতাম ওদের বোডিং-হাউসে। শামাকে দেখবামাত্র খেজুর পাতার একটা চাটাই নিয়ে ছিন্ন ছুটে আসতে ৷ বলতো, ্াড়াও, এইটে আগে পেতে দিই | এই বলে খাটিয়ার ওপর থেকে বই-টই সরিয়ে সেই চাটাইটা বিছিয়ে দিয়ে বলতো, নাও এইবার শোও, বোসো, যা খুশি তাই কর। বিছানার চাদরটা ময়লা হলে তাকেই কাচতে হবে-_তাই তার এই সতর্কতা | কিন্তু বিছানার চাদর A কাপড় জাম৷ কাচতে তাকে আমি কোনদিনই দেখিনি, নজরুলই আমাকে সেকথা বলেছিল। বলেছিল--_পাছে আমি কিছু মনে করি এই ভেবে | fay কিন্তু স্পষ্ট পরিঙ্কার বলে বসলো--বিছানার ওপর তোমরা মই-মাড়ন্‌ কর আর আমি তোমার viwa কেচে মরি | নজরুল হো হো৷ করে হাসতে ৷ সেই পবিত্র নির্মল হাসি! নিতান্ত সহজ সরল শিশুর মত নিষ্কলঙ্ক অস্তঃক রণের বহিঃ-প্রকাশ | বিস্কুটওলা এসে দাড়াতো জানলার পাশে । মিশমিশে কালে গায়ের রং, গলায় শুভ্র যজ্ঞোপবীত। বাশের চুপড়িতে নানা- রকমের বিস্কুট পাউরুটি--ময়লা একটা ন্যাকড়া দিয়ে ঢাকা | ১১



Leave a Comment