সুবোধ ঘোষের গল্প সংগ্রহ [খণ্ড-৫] | Subodh Ghosher Galposangraha [Vol. 5]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চিরকালের মতো চলে যাচ্ছে এ শহর ছেড়ে | | af নম্দী বোধহুয় বিষ খাবার চেষ্টা করেছিল । প্রীতি মুখার্জীর দাদা খুব সম্ভবত Gel লাগিয়েছে--ধে এসব লেখা লিখছে, তাকে খুন Sq হবে । স্থমিতার জোর করে বিয়ে দেওয়া we এই মাসেই | গুজব উড়ছে-_ বিশ্বাস না করলেও অবিশ্বাস করার উপায় নেই । এত গুলি বাড়ির হাঁড়ির খবর কে আর স্বচক্ষে দেখে এসে অধিক বলতে পারে? হ্যা, সে কাজ একমাত্র পারে এবং যদি wa করে-_সে হলো কালে পাথরের কবি। মালা বিশ্বাস তাদের দেখলো একদিন, টাউন সিনেমার ওপরের গ্যালারিতে | প্রথম সারিতে বসে আছে-_পূর্ণিম, স্রমিতা, wei ও প্রীতি । গুণে গুণে তারা ঠিক চারঞজ্জন । পাশে ও পেছনের লারিতে আরও অনেক মেয়ে বলে আছে। মালা একট চেয়ার টেনে নিয়ে বলে আছে একেবারে শেষ প্রান্তে--ঝক্ঝকে GSB আলোর ঝাড়ের নীচে | মাল৷ ভাল করে আর একবার দেখলে । হ্যা, ঠিক ওরাই চারজন । কিন্তু কৃবে ওর। এত ঘনিষ্ট হলে। ? আগে তে। Sal কেউ কাউক্কে ভাল করে চিনতোও না। আশ্চর্য, আজ ওরা এক হয়ে গেছে | পেছনের সারিতে সেনপাঁড়ার মেয়েদের মধ্যে বসে আছে মুক্তি রায়, মালারই স্কুলজীবনের বন্ধু Gai সকলেই ব্যস্ত, সবাই She ঝঁকি দিয়ে দেখছে সামনের সারির চারজনকে । মুক্তি রায় এক-এক করে চিনিয়ে দিচ্ছিল সকলকে কে পূর্ণিমা, কে স্থগিত, কে Rar | পূণিমারাও চুপ করে ছিল ai) ওদের আলাপ গল্পের উদ্বেল কলরব সমস্ত গ্যালারিকে চুপ করিয়ে রেখেছিল | সকলেই আস্তে কথা বলে, শুধু পুণিমার। ছাড়া। ওদের হাসি থামতে চায় না। একজনে বাদাম কেনে, চারজনে ভাগ করে খায় । ওরা তাকার না কারও দিকে | সমস্ত গ্যালারিব জনতা যেন প্রকাণ্ড একুটা Stal মাত্র, শুধু ওরাই সজীব | মাল। একা পড়ে গেছে, তাকে CHG দেখছে ন৷।। জীবনে বোধহয় এই প্রথম সে আড়ালে পড়ে গেল ৷ এত প্রথর বিদ্যুতের বাতিটার ণীচে বসে আছে মালা, অস্টি চেব পালকের বর্ডার দেওয়া মেরিনো .পশমের জামা Alea, দু'ইঞ্চি লম্বা সোনার চেনে গাথা একজোড়৷ উদ্ভট প্যাটার্ণের দুল দু'কান থেকে ঝুলে ঘাড়ের ওপর লুটিয়ে আঁছে। তবু কোন বিস্মিত বিরক্ত বা ধিক্কার ভরা দৃষ্টি কোন দিক থেকে তার দিকে তেড়ে আসছে না। মালা আ fas হয়ে গেছে | ছবির অভিনয় আরম্ভ হলো | ক্ষান্ত হ'ল গ্যালারির কলরব। আলোৎগুলি নিভলো | পুর্ণিমাদের সারি থেকে এক-এক টুকরে৷ হাসিভরা.কলরব মাঝেমাঝে ১৩



Leave a Comment