বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তি | Bankura Jelar Purakirti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ভারতীয় পুরাতত্তব বিভাগ ( আককিমলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়া ) এক শ বছরের বেশী পুরাতন এঁতিহাসিক ইমারতকে পুরাকীতি ব'লে গণ্য করেন। এছাড়া প্রাচীন স্বূপ, ঢিপি, জলাশয়, কবরখানা, ভাস্কর্য, পুথি-পুস্তক, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস প্রভৃতিও পুরাকীতি বা পুরা- বস্তুর পর্যায়ে পড়ে। এই সংজ্ঞা অনুসারে SE তথা পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় পুরাকীতি ও পুরাবস্তুর সংখ্যা যে অগণিত তাতে সন্দেহ নেই। বাঙালীর এই মূল্যবান্‌ কৃষ্টিসম্পদের পূর্ণ বিবরণ গ্রদ্থাকারে প্রকাশিত হওয়| যতই কেননা কাম্য হোক, বর্তমান পুস্তকের ভূমিকায় প্রথমেই একথা ব'লে রাখা প্রয়োজন যে এহেন বহুজনসাধ্য, দীর্ঘকালব্যাগী অনুসন্ধানের BAA না থাকায়, এ বই পুরাপুরিভাবে সে অভীষ্ট সাধনের জন্য লিখিত হয়নি। পুরাবস্তর প্রসঙ্গ মোটামুটি বাদ দিয়ে, পুরাকীতির তালিকা! এখানে সৌধ, ভাস্কর্য, ঢিপি ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে। এ পুস্তক্ধে আলোচিত পুরাকীরতির বিবরণগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রন্থকারের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতালন্ধ ; অল্প কয়েকটি স্থানের তথ্য সহাধ্যায়ী wat প্রীমাণিকলাল সিংহ, মিঃ ডেভিড ম্যাক্কাচ্চন ও Hota সাতরা সরবরাহ ক'রে বইটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে সাহায্য করেছেন। অন্যের প্রকাশিত লেখার ওপর নির্ভর না ক'রে তার প্রয়োজনও বিশেষ হয়নি--ফিল্ড-ওআর্ক'কেই এখানে সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার যাবতীয় পুরাকীতি এ গ্রন্থে বণিত হয়েছে এমন অসম্ভব দাবী কখনই করা যায় না; তবু কয়েক বছরের প্রায় একক পরিশ্রম সরেজমিনে নিযুক্ত হওয়ার দরুন বীকুড় জেলার প্রধান ও উল্লেখযোগ্য পুরাকীতিগুলির এক সংক্ষিপ্ত বিবরণ যে এখানে উপস্থিত করবার এঁকান্তিক চেষ্টা করা হয়েছে এমনই আমার বিনীত বিশ্বাস। গ্রন্থাগারনির্ডর, কেতাবী গবেষকদের জন্য এ বই লেখা হয়নি, যদিও এ থেকে তারা নিরুপদ্রবে উপাদান সংগ্রহ করতে পারবেন | যে কাজ আমার একার দ্বারা সম্পূর্ণ হ'ল না, সেই বিরাট কাজে আরও পাঁচঞ্জনের সক্রিয় মনোযোগ আকর্ষণ করাই আমার উদ্দেশ্য । অশেষ ক্লেশে গ্রামগ্রামান্তরে সফর ক'রে যারা দেশকে চিনতে আগ্রহী ( দেশকে চিনবার আর কোন বিকল্প পদ্ধতি আমার



Leave a Comment