নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচনাবলী | Narayan Gangopadhyay Rachanabali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচমাবলী ইন্দুকে পাওয়া সৌভাগ্যের কথা 1” উল্লসিত হয়ে তারাকুমার বললেন, “আমি জানতাম। আমার মেয়েকে "কিছুতেই তৃমি অপছন্দ করতে পারবে না 1” "কিন্ু--” আর একবার কী বলতে গিয়েও বলতে পারল না শাস্তিভূষ্ণ | “কিন্তুর আর কিছু নেই” উৎসাহিত হয়ে তারাকুমার বললেন, “তা হলে তো কথা হয়েই গেল | অবশ্য তোমার একটা ঠিকুজি পেলে ভাল হত। faz না পেলেও ক্ষতি নেই, তোমার মুখ দেখেই বুঝতে পারছি সমস্ত স্থলক্ষণ আছে তোমার ভেতরে ৷ দেখি হাতখানা-_” ইতস্তত করে হাঁত বাড়িয়ে দিলে শাস্তিভূষণ | “বাঃ--সহুন্দর ete) উজ্জ্বল বৃহস্পতি ৷ দীর্ঘায়ু যোগ--অর্থভাগ্য আছে ৷ আউল দেখে বোঝা যাচ্ছে দেবগণ ৷ রাজযোটক হবে ।” আর একবার শাস্তিত্ূষণের মুখ থেকে সব রক্ত সরে গিয়েছিল--কিন্তু মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের জন্যে । তারপর শাস্তিভূষণ বলেছিল, “বেশ তাই হবে । "আপনি যা আদেশ করবেন তাই আমি করব 1” - ঠিক হতে লাগল আরো মাসথানেক | তারপরেই তারাকুমার কাগজ-কলম নিয়ে লিখতে বসলেন | “নিরাপদ্দীর্ঘজীবেষু, বাবা হরিপদ, আমার আশীর্বাদ জানিবে । বিশেষ সমাচার এই যে, আগামা ১২ই আষাঢ় আমার sal কল্যাণীয়া শ্রীমতী ইন্দুমতীর সহিত বর্ধমান জিলার শক্তিপুর নিবাসী wife প্রতাপতূষণ চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র শ্রীমান শাস্তিভূষণের শুভ-বিবাহ-_" চিঠি হয়তো শেষ পর্যন্ত পৌঁছয়নি হরিপদর কাছে। কিন্তু বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল | খুব সম্ভব ওই ১২ই আষাড়েই | আরো এক বছর কাটল তারপরে ৷ রাজযোটকই বটে । মাটিতে নয়-_যেন আকাশে পা ফেলে চলতে লাগলেন তারাকুমার। — মুখ দেখে বুঝতে পারতেন যা চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন। স্বপ্ন ভাঙল একদিন ভোরবেলায় । ইন্দুমতীই এনে দিল সে চিঠি। তারা- কুমারের সামনে সেটা ফেলে দিয়ে ছুটে গিয়ে বন্ধ করে দিল ঘরের দরজা। সারা fra সে-দরজা আর খোলেনি । চিঠিতে লেখা ছিল : a “আমার আর থাকবার উপায় নেই। কেমন সন্দেহ হচ্ছে পুলিসে. আমার



Leave a Comment