মুহূর্ত কথা | Muhurta Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ বাণী বসুর নির্বাচিত গল্পসংগ্রহ হল অমিতেশ ছাড়া পেয়েছে। অমানুষিক অত্যাচারে পঙ্গু । তাকে বাঁচাতে সংহিতা শেষ পর্যন্ত এই বৃত্তির দ্বারস্থ হয়েছে। গল্পটা নতুন নয়। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় তৃতীয় দশকের রোম্যান্টিক উপন্যাসের কথাসার। অগ্নিযুগের পর, Tess স্বাধীনতা লাভের পর যে জাতের উপন্যাস বাতিলের খাতায় দাম লিখিয়েছে। কিন্তু গল্প যখন নিছক সত্য হয় এবং তার পাত্রপাত্রী যখন একেবারে রক্তমাংসের চেনা মানুষ হয় তখন তার আঘাত কী দুঃসহ অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকবার পর আমি সংহিতাকে কথা দিলাম অমিতেশকে দেখতে আমি তাদের ডেরায় অবশ্যই যাব। সেই মর্মে স্থান এবং কালও ঠিক করা গেল। যখন শিক্ষক ছিলাম ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা করার অভ্যাস ছিল। ছাত্রপ্রিয়তার Aw লোভ হয়তো ভেতরে ভেতরে কাজ করে থাকবে, জানি না। তবে ওদের সঙ্গে ব্যবধানটা সহকর্মীদের সঙ্গে AINA চেয়ে কম HHA মনে হত। সদ! পাস করে বেরিয়েছি। নীচেকার বেঞ্চ থেকে প্ল্যাটফর্মের চেয়ারে প্রমোশনটা যেন নেহাত আপতিক। চোখে তখনও নতুন কিছু করার স্বপ্ন, জিভে নতুন ভাষা. টাটকা ধ্যান-ধারণার সংস্পর্শে আসবার রোমাঞ্চ তখনও আমায় ছেড়ে যায়নি। ছাত্ররা আমায় দেখে সিগারেট লুকোত না, বারণ করে দিয়েছিলাম। ক্লাসে, করিডরে, কফিহাউসে যখনতখন যে-কোনও বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে তুমুল তর্ক FOU, তার অনেকগুলোতে আমি গো-হারান হেরে যেতাম এবং কোণঠাসা হয়ে সগর্বে হার স্বীকার করতাম। যে বিষয়ের ওপর বিতক্কে' আমার পরাজয় অবধারিত ছিল তা হল পলিটিকস। সত্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া আমার মতে ছিল যৌবশক্তির মারাত্মক অপচয়। অপ্রস্তুত. BANGS, মন-বুদ্ধি-হৃদয়বৃত্তির উপকরণ নিয়ে রাষ্ট্রশক্তির সঙ্গে অসম টক্করে লড়তে যাওয়া এবং তার ফলশ্রুতি আত্মহত্যার শামিল বলে মনে করতাম। গবেষকের মেজাজ নিয়ে তথ্য তোমরা জোগাড় করো, SATS কাজে লাগবে, সাধ্যমতো সমাজকল্যাণের কাজে হাত পাকাও, প্রত্যেকটি মানুষই তো সেই একক যাদের পর পর গেঁথে তৈরি হয় সমাজের পাকা Hela! প্রত্যেকটি ইটের গুণগত উৎকর্ষের ওপর কি ইমারতের সামগ্রিক উৎকর্ষ নির্ভর করে না? একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে ক্ষমতা WATTS ছদ্মবেশী লড়াই চলছে। তার ভেতরের ছবি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়ে স্রেফ আ্যাডভেঞ্চারের মোহে রাজনীতির নোংরা দাবার ছকে বড়ের চালে পর্যবসিত হওয়া টিন- এজার ভষ্টতরী ছাড়া কি! মহাকুদ্ধটিকায় যার ছেঁড়া পাল ভাঙা হাল, একুল-ওকুল যার চিরকালের মতো হারিয়ে গেছে! আমার সমস্ত বাগ্বিস্তারের অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়া ছিল-- জানি রজ্তদা, বিপ্লবকে, রক্তপাতকে আপনি ভয় করেন। fs | অথচ আপনার প্রিয় নেতা স্বাধীনতার জন্য রক্তের মূল্য চেয়েছিলেন! স্বাধীনতা? সে তো তোরা পেয়ে গেছিস? পাসনি? ফুঃ। এ জারজ স্বাধীনতা কে চেয়েছিল? ইতিহাসকে তো উলটে দিতে পারিস না! যা পেয়েছিস তাকেই প্রাণপণে গড়ে তোলবার চেষ্টা করতে দোষ কি? আমরা স্পার্টান আদর্শে বিশ্বাসী। আঠাশে শিশু প্রতিপালন করবার চেয়ে ae ইতিহাসের ছক উলটে দেব। দেওয়া যায়। আপনিও জানেন, আমরাও জানি। ক্রমিক অসহযোগ কিংবা হঠকারী কু দিয়ে শাসনযন্ত্রের উৎসাদনের যে প্রচেষ্টা তাকে সার্থক



Leave a Comment