শের-ই-খোদা হজরত আলী [সংস্করণ-৩] | Sher-e-khoda Hazrat Ali [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করার চেষ্টা করেছি। কেননা, সাবধান বাণী এইটুকু__সত্য ও সুন্দরের পথে তাদের কঠিন-অর্জিত মনুষ্যত্বের দীপশিখা যেন কোন অনিশ্চিত অলৌকিকতার ঝড়-ঝাপটায় Moe হয়ে না ওঠে। সবার সম্মুখে তারা দেহগতভাবে ছিলেন সাধারণ মানুষ, অন্তরে ছিলেন আদর্শ মানব। মহানবী হযরত মহম্মদ (দঃ) সবসময় নিজেকে অতি সাধারণ মানুষ বলে পরিচয় দিতে ভালবাসতেন এবং ঠিক 2 তাবেই দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরাও করতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন- “আমি তোমাদের মতো একজন মানুষ” পরবর্তীকালে তার চারজন অকৃত্রিম অনুসারী খলিফাও ঠিক এঁ ভাবেই নিজেদের সমাজে তুলে ধরেছিলেন। খলিফাগণের জীবন ছিল এমনই সরল ও সহজ, কোথাও কোন দুর্বলতা ও জটিলতা নেই, অভিনয় নেই, অভিমান নেই, আড়ম্বর নেই, অহমিকা নেই, অসাম্যের চিহ্ন নেই। তারা শুধুমাত্র সাম্যের প্রবক্তা ছিলেন না, বাগ্মী ছিলেন না, তারা বিশাল জনসমাবেশে সাম্যের সুন্দর ভাষণ দিয়ে অসাম্যের বিরাট অট্টালিকায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বৈধ-অবৈধ সম্তোগের চরম প্লাচুর্যে দিন ও রাত্রি কাটিয়ে নিজেদেরকে নিজেই প্রবঞ্চনা করতেন না। ১৮ :১১০। তারা ছিলেন সত্য, শাস্তি ও সাম্যের আচার্য | তাই তাদের বলা হ্য়- -খোলাফায়ে রাশেদীন, অর্থাৎ সংপথে পরিচালিত খলিফাগণ। আরবী খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি । মহানবী (দঃ) ছিলেন এক আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি। pre খলিফা ছিলেন তাব প্রতিনিধি wor ৬৬১ Bore পর্যন্ত মহানবী (দঃ) রাতের পর রাত, নিবিড় ধ্যানে, একান্ত আরাধনায় আত্মিক সাধনায় আল্লাহর নিকট হতে শক্তি সঞ্চয় করতেন এবং দিবালোকে মানুষের কল্যাণে এ শক্তির সদ্বাবহার করতেন। “খোলাফায়ে রাশেদীন'ও .-:লেন ঠিক তার পূর্ণ অনুসারী | তারাও বলতেন--__'রাত্রিতে যে শক্তি সঞ্চয় করি, দিবালোকে তা খরচ করি।” তারা আরো বলতেন, মনের জন্য যেমন প্রার্থনা আছে, দেহের জন্যও তেমনি প্রার্থনা আছে। মনের প্রার্থনা ধর্মযোগে, অর্থাৎ মন তাল থাকে ধর্মযোগে, দেহের প্রার্থনা কর্মযোগে, Sele দেহ ভাল থাকে কর্মযোগে। এইভাবে তারা একদিকে ছিলেন ধর্মযোগী, আবার অন্যদিকে ছিলেন কর্মযোগী। তাই তাদের জীবনধারা ছিল আদর্শের ধারা, অনুশীলনের ধারা, মানুষ গঠনের ধারা, সমাজ গঠনের ধারা। তাদের ধারা শুধু জড়বাদের (Materialistic world) মতো দেহ ও ইহলোকের ধারা AT) তাদেব জীবনধারা দেহ ও মনের সমন্বিত ধারা, ইহলোক ও পরলোকের সম্মিলিত ধারা, এককথায় অখণ্ড জীবনের ধারা। মহানবী হযরত মহম্মদ (দঃ)-এর we, উদ্দেশ্য ও Swe বিধৃত হয়েছিল সমগ্র বিশ্বে একটি মাত্র জাতি, যার নাম মানবজাতি। একটি মাত্র সমাজ, যার নাম মানবসমাজ। তিনি চেয়েছিলেন একটি মাত্র সরকার, যার নাম বিশ্ব-সরকার বা মানব সরকার। (বর্তমানের U.N.O. জাতিসংঘ তার ১৩



Leave a Comment