বাঙ্গালা ভাষার অভিযান | Bangala Bhashar Abhidhan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা। ৫ _ আমাদের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, প্রণয়-মালাপ-_-আমাদের .মনের কথা এবং প্রাণের ,গান ধরা আছে-_সেই ভাষাকে প্রাকৃত বলুন, দেশী বলুন, TET বলুন, ভাষা বলুন আর অপতভাধাই বলুন, মাতৃভাষার | অংশেই আমাদের প্রাণপুরুষের পরিচয়। স্থুতরাং ভাষার অভিধানে চটী অংশের স্থান আছে। “বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে” সেইজন্য “স্থান” এবং “ঠাই”, “গুহা” এবং “cate” এই Be রূপই থাকিবে। আশঙ্কা, শঙ্কা,, ভীতি যেমন, থাকিবে, ভয় এমন ve ডর, Ua, ডরানও থাকিবে। যে কারণে সংস্কৃত “স্থান” শব্দের প্রাকৃত ( ঠান )--“ ঠাই” অতিধানে স্থান পাইয়াছে, সেই ' কারণেই সংস্কৃত “Aa প্রাকৃতরূপ “তিরি” শব্দ ইহাতে স্থান পাইবে। এটি আধুনিক সাহিত্যে 'চলে বলিয়া থাকিবে, ওটি প্রাচীন বাঙ্গালা পদাবলী সাহিত্যে চলিত বলিয়া রাখিতে হইবে । অনেক মেয়েলি এবং অশিক্ষিত জনসমাজে প্রচলিত শব্দ, যথা-_মন্দ acd মন্দ, পল্কা অথ অপল্কা, খ।লিস অর্থে নিখালিস, বৃথা অর্থে অত্রেথ৷ (সা-প, গ্রহ্থানলী, ৪৩, পৃ, ce) প্রভৃতি উপদ্যাস নাটকাদিতে দৃষ্ট aa, অভিধানে ওগুগি স্থান না পাইলে, ভিন্নভাষাভাষীর, এমন কি জানা না থাকিলে, আমাদেরই ্ পক্ষে তাহাদের অর্থগ্রহ Re হইবে। শব্দতত্ব হিসাবেও উহাদের মূল্য আছে। গ্রাম্য শব্দ হইতে বিশুন্ধ প্রাদেশিক শব্দ নির্বাচন করা কঠিন। কোন্‌ শব্দ কোন্‌ প্রাদেশিক এবং কোন্গুলি সাহিত্যে স্থান পাইতে পাইতে প্রাদেশিকতার সীমা অতিক্রম করিয়াছে তাহা fafa করাও সহজ ae! সাহিত্য-পরিষদের অন্যতম সদস্য Dye রাজকুমার বেদাস্ততীর্থ মহাশয় বঙ্গদেশের বিভিন্ন জেলার সাহিত্যানুরাগীদিগের সহায়তায় প্রাদেশিক-শব্দাভিধান সনঙ্কলন করিতেছেন। তিনি এই বিরাট কার্য্যের ভার গ্রহণ করত অভিধানকারগণের দায়িত্ব ও ain হ্রাস করিয়া ধন্য- বাদার্ হইয়াছেন। বাঙ্গালাভাষার অভিধানে যে যে শব্দের পর [ ] এই wate মধ্যে “প্রাদে” বলিয়৷ ইঙ্গিত করা হইয়াছে তাহ প্রাদেশিক ব্যবহার a অর্থে বুঝিতে হইবে, যথ৷--_শব্দপরিশিষ্ান্তর্গত “জাগর” শব্দ | শব্দগুলি অকারাঁদি ক্রমে এবং অকার হইতে ওঁক[র যোগের পর ২, ১ * এবং তাহার পর ব্যঞ্জনবর্ণ যোগে বিন্যস্ত হইয়াছে, যথা--ক, কম, Sal, কই, TH, GE, কউ, sa, ক৯, Ta, FH, কও, কও, কং, কঃ,ক,ষ্কক্‌ কক * * * কহলার, কা, কাই ইত্যাদি। _ যে সকল সংস্কৃত শব্দ বিভক্তি-বর্চিিতমাত্র হইয়া বাঙ্গালায় অবিকল ব্যবহৃত হইতেছে তাহাদের ' বানানে বিকৃতি নাই | প্রাকৃতজ অর্থাৎ মূল বাঙ্গালা ও-বিদেেশী শব্দের.. বানান লইয়াই যত গোল। এ সকল শব্দের ইকার (f) ও ঈকার (1), উকার (.) ও উকার (.), st . একার.(0) ও য-ফলাযুক্ত আকার, (যা), 'জ' ও 'য', ‘a ও ap, a ও ‘a’, “ay *য' ও স'. লইয়৷ 'সচরাঁচর গোল বাধে। উচ্চারণ করিব ইকীর উকারের কিন্তু লিখিব ঈকার Seta এবং অতিলিখনে বানানে ভুল করিবার সম্ভাবন! রাখিব কেন? জোড় না যোড়, বাণান না বানান, সোণা না সোনা--কি লিখিব? তালব্য “শ, Wee 'ঘ' এবং দন্ত্য 'স' এই তিনটির বানানে ঠিক রাখিব, কিন্তু তিনটিরই aay উচ্চারণ করিব কেন? অভিধানে শব্দবিশ্যাসে এবং সংস্কারে ain ও awe Toma CON রাখিব কিন্তু,লিখিবার বা উচ্চারণ করিবার কালে উভয়কেই ata মত পড়িব কেন? বাঙ্গালায় একমাত্র বসায় বায়ের উচ্চারণ আছে। অন্তস্থ ব'র 'উচ্চারণ ত হয়ই না, বরং তাহার বিশুদ্ধ উচ্চারণ রুরিলে সাধারণের পক্ষে শব্দার্থগ্রহে ব্যাঘাত জন্মিতে পারে। ল বর্ণের পর 1. + ate



Leave a Comment