ভাব-অভাবের গল্প | Bhab-abhaber Galpo

আর নীতা তো কলেজে KS আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ। কলেজে আসার পথটুকুতেই যত অস্তরঙ্গতা ৷ তারপর কলেজি cD 1 ও আমাদের নয়, অন্য onda | যদিও বাড়ি আমাদের পাশাপাশি; কিন্তু স্বভাব-রুচি যাবে কোথায় । ওদের সবচেয়ে যে-আলোচন!| বেশি হতো তা ছিল, সিনেমার নট-নটী, শাড়ি, গহনা-ব্লাউজ ৷ আর গুণের মধ্যে ছিল, বেঞ্চে নিজেদের নাম লিখে একটা যোগচিহ্ন এ'কে একটি ছেলের নাম লিখে, সম্ভবতঃ তার পাড়ার কোন আকাঙ্ক্ষিত ছেলে, এমন সব কদর্য কথা লিখত ষা ভাবলে কানের ডগা পর্যন্ত লাল হয়ে .ওঠে। তা ছাড়া সন্বোধনহীন কুৎসিত কথা লিখে রেখে যেত, পরদিন এসে দেখ! যেত ছেলেরা ততোধিক উচ্চস্তরের উত্তর দিয়েছে |. মনে পড়লে এখন ওদের ওপর ঘৃণা হয়, অথচ ফাস্ট” ইয়ারের অফ পিরিয়ডে হাই বেঞ্চের গায়ে কালি দিয়ে লেখা আর ছুরি দিয়ে কাটা এ সব পত্র পড়ে হাসির কল্লোল তুলে কত সময়ই না কাটিয়েছি! বয়সোচিত যৌন গুৎস্থক্যের উগ্রতা ছিল বলেই হয়তো আমাদের অমন করে Stars ওদিকে ৷ ATM কথায় তখন যাকে বলে আমরা ছিলাম নতুন বর্ষার চিংড়ি । অল্পতেই ছরছর করতাম। এখন আমাদের ফোর্থ ইয়ার। অনেক See | উচ্ছ্বাস, উৎসাহ অনেক ধীর স্থির হয়ে এসেছে । ফাস্ট' ইয়ারে একটা কিছু উত্তেজনা চাই । উদ্বোধনের চেয়ে উত্তেজনায় ছিল পক্ষপাতিত্ব । এখন উদ্বোধনে | কলেজ জীবনের কত ঘটনাই না মনে ATG! তখন আমাদের coe ইয়ার । একদিন নীতাদের দলের একটি মেয়ে--নাম অর্চনা, আমার আর লিলির মাঝে বসেছিল ৷ সে সময় ক্লাস হচ্ছিল, বেশ মনে পড়ে, ফিলসফির | হঠাৎ এক সময় আমার চোখ গিয়ে লিলির ওপর পড়ল । দেখলাম, ও ইশারায় ওর হাত দেখাচ্ছে; অথচ হাত যে ভাবে আছে, সেই এলায়িত- ভাবেই রেখে দিয়েছিল হাই বেঞ্চের ওপর । আমি ওর হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি, অর্চন লিলির হাতের পাশে নিজের হাত, রেখে তন্ময় হয়ে অত্যন্ত তৃপ্তির সঙ্গে গায়ের রঙ মেলাচ্ছে। অচ'নার রঙ লিলির চেয়ে কিছুটা গৌর | দেখে কৌতুক বোধ করলাম। করবারই কথা । এ দেখে কে না কৌতুক cate করে! আমিও আমার areal অর্চনার পাশে sw