রুদ্রাণী | Rudrani

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একশ'বার স্বীকার করি। উনি সঙ্গে সঙ্গেই বলেন, তবে একথাও জানি, শাস্ত্রসম্মত হলেই যে সবকিছু সমাজ মেনে নেবে, তার কোনও বাধ্যকতা নেই। গুরুদাস বললেন, আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করার দুঃসাহস আমার নেই। তবে শুধু এইটুকু নিবেদন করবো, যদি আপনার ও মাতৃদেবীর অনুমতি লাভ করি, তাহলে আপনার কন্যাকে আমি বিবাহ করতে AWS | উনি একটু থেমে বলেন, আমার পিতামাতা জীবিত নেই বলে আমাকেই এই প্রস্তাব করতে হল বলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। মহামহোপাধ্যায় অত্যস্ত গম্ভীর হয়ে বললেন, তুমি কী জানো, আমার বিধবা কন্যাকে বিবাহ করলে তোমার সামাজিক জীবনে নানা সঙ্কট দেখা দিতে পারে? গুরুদাস একটু হেসে বলেন, ব্যতিক্রম কিছু করলেই যে কিছু সমস্যা বা সন্কট দেখা দেয়, তা আমি জানি কিন্তু তার মোকাবিলা করার মত আত্মবিশ্বাস আমার আছে। তুমি এই বিয়ে করলে তোমার পক্ষে সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপনা করা হয়তো অসম্ভব হয়ে উঠবে, তা জানো? আইনতঃ কর্তৃপক্ষ কিছুই করতে পারবেন না; তবে ছাত্র-অধ্যাপকদের একটা অংশ যে আমার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। উনি একটু থেমে একটু হেসে বলেন, সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপনা না করলেও আমি আশা করি, বেঁচে থাকবো। মহামহোপাধ্যায় কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বললেন, বাবা, আমাকে একটু ভাবতে দাও | প্রায় মাস ছয়েক পর মহামহোপাধ্যায় হৃদয়নাথ ভট্টাচার্যের বিধবা কন্যা কাত্যায়নী দেবীকে গুরুদাস বিয়ে করেন। এই বিয়ের ব্যাপারে শুধু সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপকদের মধ্যে না, ঝড় উঠেছিল সমাজের নানা মহলে কিন্তু গুরুদাস বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নি। হাসি মুখে উপেক্ষা করেছিলেন রক্ষণশীলদের অপমান আর উপেক্ষা একদিন এক অধ্যাপক হাসতে হাসতে গুরুদাসকে বললেন, আরে মশাই, ছাত্ররা যখন আপনার কাছে পড়তে চায় না, আপনার ক্লাসে যায় না, তখন চাকরিটা ছেড়ে দিলেই তো পারেন। অন্য একজন অধ্যাপক পাশ থেকে টিপ্ননী কাটলেন, ছাত্রদের না পড়িয়ে st



Leave a Comment