প্রবাহ [খণ্ড-২] | Prabaha [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এ কথাটি সে সময় বাঙালি মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের শ্লোগানে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের সৃষ্ট হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ভয়াবহতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় দেশ ভাগ ছাড়া উপায়ছিলনা। মহাত্মা গান্ধী দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন না। জওহরলাল রাজি হলেন উপায়াস্তর না দেখে | এদিকে ১৯৪৭ সালের জুলাই-এ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মদ দাবি তুললেন নূতন পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা উদুই হোক | ডঃ মহম্মদ শহিদুল্লাহ যিনি ১৮টি ভাষায় পণ্ডিত এবং বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ, “দৈনিক আজাদ' পত্রিকায় তৎকালীন জনবিন্যাসের AS তথ্য উল্লেখ করে লিখলেন, পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষা ও অফিস-আদালতের মাধ্যম বাংলা হবে, উর্দু নয়। কাজেই দেশ ভাগের পূর্বেই যারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ চেয়েছিলেন তারা অস্বস্তিতে পড়লেন। কারণ ডঃ শহিদুল্লাহ-এর যুক্তি পূর্ববঙ্গের বুদ্ধিজীবী ও আমজনতা মেনে নিয়েছিল। রাষ্ট্রভাষার ইস্যুতে মুসলীম লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে যায়। কিছু রাজনৈতিক Brora উর্দুপস্থী ছিলেন। এ ভাবেই ভাষা আন্দোলনের সামাজিক ভিত তৈরী হয়ে যায় ALAC | ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মহম্মদ আলি জিন্নাহ গভর্নর জেনারেল হিসাবে প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় সফরকালে এসে ঘোষণা দিলেন, উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে। ঢাকার বিখ্যাত রেসকোর্স ময়দানে তিনি ২১শে মার্চ ১৯৪৮ বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, “Urdu and only Urdu should be the state language of Pakistan” মাঠে সমবেত বাঙালিদের সমস্বর ধ্বনি শোনা যায় “না” “না”। জাতির পিতার মুখে এ অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কথা পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের জাগ্রত বিবেককে স্তম্ভিত করেছিল। কারণ পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ছয়জন মাত্র উর্দু ভাষী আর বাদবাকী ৯৪ জনই বঙ্গভাবী। কাজেই ছয় জনের মুখের ভাষা PATHS জনের মুখের উপর জোর করে চাপিয়ে দেবার ধূর্ত প্রয়াস ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী — কেউই মেনে নিতে পারেননি ক্রোধান্লিশিখা ক্রমে FTI তীব্র হলো বঙ্গভাষীর অস্তরে এবং সে আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে AGT | ২৪শে মার্চ (১৯৪৮) DIM বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে সমাবর্তন উৎসবে তিনি পুনরায় উর্দু রাষ্ট্র ভাষা থাকার সদস্ত ঘোষণা দেন। ছাত্রগণ সঙ্গে সঙ্গে ‘No’ ‘No’ বলে এর প্রতিবাদ করেন। 89 থেকে ৫২, ভাষা নিয়ে বিতর্ক আর আন্দোলন অব্যাহত ATT | STH আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হলো বছমুখী সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর নেতৃত্বে ছিল বাম শক্তি $ জাতীয়তাবাদী শক্তি। ক্রমে শ্রমিকরাও আন্দোলনে সামিল হল। ওদিকে প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন এবং বড়লাট মহম্মদ আলি জিন্নাহ তাদের সিদ্ধান্তে অটল। জিন্নাহ-এর মৃত্যুর পর খাঁজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের বড়লাট হন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন | সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা পরিষদ আন্দোলনের ডাক দেয় ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী (১৯৫২) পর্যন্ত । সমস্ত ¥



Leave a Comment