For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পণ্যে ভারতের দাবি মেটানোর জন্য ব্রিটেন ছিল পৃথিবীর সর্বাগ্রগণ্য
শিল্পোন্নত দেশ | কয়েকটি উৎপন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে (যেমন তুলাজাত পণ্য )
ভারত সরকারের শুল্ক-বিষয়ক আইন আমদানিকে সরাসরি উৎসাহিত
করত। ভারতের যে সব উৎপাদনকারী শিল্প ওই দেশের সঙ্গে আমাদের
আমদানি বাণিজ্যের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারত এই ধরনের আইন
সেই-সব শিল্পের বৃদ্ধি পরোক্ষভাবে সীমিত করত । স্থৃতরাং আমাদের
বৈদেশিক বাণিজ্যে হেট ব্রিটেনের আধিপত্য ছিল ছুটি কারণের সম্মিলিত
ফল £ ওই দেশটির কাছে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থ নৈতিক দাসত্ব
এবং পৃথিবীর দেশগুলির মধ্যে গ্রেট ব্রিটেনের ats শেেষ্ুত্ব ।” মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ভারতের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে
তত্ব ও বাস্তবের সংমিশণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
রানাডে বিশ্বাম করতেন, আপেক্ষিকতার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ভারতের
অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির বিশ্লেষণ করতে হবে Sty মতে সরকারী
তত্ত্বাবধান ও সাহায্যে দেশের মোট সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা কর] উচিত।
রানাডে চেয়েছিলেন “রাষ্ট্রীয় অভিভাবকত্তে ব্যক্তি-প্রধান অর্থ নৈতিক
ব্যবস্থা *” তার মতে সরকারী সাহায্যে (সরকারী মালিকানায় নয় )
হ্বল্লায়তন কৃষিক্ষেত্র বৃহদায়তন কৃষিক্ষেত্রেপরিণত হতে পারে, কৃষির অন্নপাতে
যন্ত্রশিল্লের প্রাধান্য বাড়তে পারে, গ্রামের লোক জীবিকার আশায় শহরে
আসতে পারে এবং গ্রামকে যথাসম্ভব শহরে রূপান্তরিত ( urbanisa-
tion) করা যেতে পারে | আন্ত:প্রাদ্রেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ কমিয়ে বহি-
বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে এবং ভারতীয় শ্রমিকদের বিদেশে
যাবার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে । রানাডে মনে করতেন, এভাবে
দেশের সম্পদ বাড়ানো সম্ভব হবে। তবে AMA বেড়ে যাবার পর তার
বণ্টন কিভাবে হবে সে সম্পর্কে রানাডে বিশেষ কিছু বলেননি । ভারতে
যন্ত্রশিল্লের উন্নতির জন্য রানাডে সরকার কর্তৃক ব্যাংক প্রতি, গ্যারান্টি বা
অর্থসাহায্য করে নূতন কারখানা! প্রতিষ্ঠা করা, শ্রমিকদের চলাচলের alae
করা, কারিগরী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রভৃতর উপর গুরুত্ব আরোপ ৭ । অর্থনীতির পথে--ভবতোষ দত্ত, পৃষ্ঠা ৪৪ ১৬