সুভাষচন্দ্রের অর্থনৈতিক চিন্তা | Subhaschandrer Arthanaitik Chinta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পণ্যে ভারতের দাবি মেটানোর জন্য ব্রিটেন ছিল পৃথিবীর সর্বাগ্রগণ্য শিল্পোন্নত দেশ | কয়েকটি উৎপন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে (যেমন তুলাজাত পণ্য ) ভারত সরকারের শুল্ক-বিষয়ক আইন আমদানিকে সরাসরি উৎসাহিত করত। ভারতের যে সব উৎপাদনকারী শিল্প ওই দেশের সঙ্গে আমাদের আমদানি বাণিজ্যের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারত এই ধরনের আইন সেই-সব শিল্পের বৃদ্ধি পরোক্ষভাবে সীমিত করত । স্থৃতরাং আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যে হেট ব্রিটেনের আধিপত্য ছিল ছুটি কারণের সম্মিলিত ফল £ ওই দেশটির কাছে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থ নৈতিক দাসত্ব এবং পৃথিবীর দেশগুলির মধ্যে গ্রেট ব্রিটেনের ats শেেষ্ুত্ব ।” মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ভারতের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে তত্ব ও বাস্তবের সংমিশণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। রানাডে বিশ্বাম করতেন, আপেক্ষিকতার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ভারতের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির বিশ্লেষণ করতে হবে Sty মতে সরকারী তত্ত্বাবধান ও সাহায্যে দেশের মোট সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা কর] উচিত। রানাডে চেয়েছিলেন “রাষ্ট্রীয় অভিভাবকত্তে ব্যক্তি-প্রধান অর্থ নৈতিক ব্যবস্থা *” তার মতে সরকারী সাহায্যে (সরকারী মালিকানায় নয় ) হ্বল্লায়তন কৃষিক্ষেত্র বৃহদায়তন কৃষিক্ষেত্রেপরিণত হতে পারে, কৃষির অন্নপাতে যন্ত্রশিল্লের প্রাধান্য বাড়তে পারে, গ্রামের লোক জীবিকার আশায় শহরে আসতে পারে এবং গ্রামকে যথাসম্ভব শহরে রূপান্তরিত ( urbanisa- tion) করা যেতে পারে | আন্ত:প্রাদ্রেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ কমিয়ে বহি- বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে এবং ভারতীয় শ্রমিকদের বিদেশে যাবার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে । রানাডে মনে করতেন, এভাবে দেশের সম্পদ বাড়ানো সম্ভব হবে। তবে AMA বেড়ে যাবার পর তার বণ্টন কিভাবে হবে সে সম্পর্কে রানাডে বিশেষ কিছু বলেননি । ভারতে যন্ত্রশিল্লের উন্নতির জন্য রানাডে সরকার কর্তৃক ব্যাংক প্রতি, গ্যারান্টি বা অর্থসাহায্য করে নূতন কারখানা! প্রতিষ্ঠা করা, শ্রমিকদের চলাচলের alae করা, কারিগরী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রভৃতর উপর গুরুত্ব আরোপ ৭ । অর্থনীতির পথে--ভবতোষ দত্ত, পৃষ্ঠা ৪৪ ১৬



Leave a Comment