পথের কথ | Pather Katha

আমাদের অর্থ-সমস্থ্যা ৩ বৈদেশিক শাসনের জঙন্ত সামরিক বিভাগেও অতিরিক্ত টাকা বিদেশে চলিয়| যায়। ভারতকে অকারণে লাখথখানেক গোরা! সৈন্য পুষিতে হয়। যে সব যুদ্ধোপকরণ এখানে দেশীয় লোকদের দ্বারা প্রস্তত হইতে পারিত তাহা বহু টাকায় বিদেশ হইতে আনাইতে হয়। সামরিক বিভাগ, বন্দবিভাগ প্রভুতির বড় পদগুলিও বৈদেশিকের প্রায় একচেটায়া। এই Fa কারণে এই শাসন বাবস্থায় বৈদেশিকের সম্পদ বৃদ্ধির দরুণ ভারতবাসী অপেক্ষা তাহাদের Bere বহুগুণ বুদ্ধি হওয়ার ভারত রপ্তানি বেশী করিতে বাধ্য হইতেছে এবং ভারতের কাঁচামালের উপর বৈদেশিকেরই কর্তৃত্ব বাড়িতেছে। এই বৈদেশিক শামনের প্রভাব দেশীরাজ্যগুলিতেও সংক্রামিত। প্রজার কষ্টার্জিত সম্পদ আহরণ করিয়া তাহারা ব্যয় করিতেছেন গিয়| বিদেশে এবং বিলাসে । মেঘ যেমন চারিদিক হইতে বিন্দু বিন্দু জলকণা আহরণ করিয়| পুনরায় পৃথিবীর বুকে ছড়াইয়া দিয়া শস্ত-সম্পদ ও শান্তির স্ষ্টি করে, তেমনি রাজার দেশশাসনও তখনই সার্থক হয় যখন চারিদিকের অর্থ সম্পদ তাঁহার ভিতর fea আবার সেই দেশেরই ভিতর উপচিত হইয়া] নানা কল্যাণের প্রতিষ্ঠা করে । কিন্তু আজ তাহারা হইয়াছেন ভারতের অর্থসম্পদ বিদেশে ছড়াইবার অন্যতম যন্ত্রবেশেষ । কোটা কোটা টাকা তাঁহারা বৎসরে বিদেশে বায় করিয়া আসিতেছেন | সে দক দিয়াও ভারতের জিনিষের উপর বৈদেশিকের rere অতিরিক্ত বৃদ্ধি হইতেছে এবং নিজের উৎপন্ন জিনিষের উপর ভারতবাসী আয়ত্ত (control) হারাইয়া অদ্ধাশনে কাল কাটাইতেছে | ভারত কুষিপ্রধান দেশ। সেই কৃষির অবস্থা! আজ শোচনীয় হইয়াছে | রাশীয়া, জাম্মাণী প্রভৃতি দেশের একবিঘাতে যে গম উৎপন্ন হয় ভারতের তিন বিঘাতেও তাহা হয় না। জাভা, Win প্রভৃতি দেশের এক fea 'আখে যে গুড় বা চিনি হয় ভারতের চারবিঘাতেও তাহা হয় না। আমেরিকার এক বিঘাতে যে তুলা হয় ভারতের দুই বিঘাতেও তাহা হয় না, ইজিস্টের