জুতোয় রক্তের দাগ | Jutoy Rakter Daag

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নেমে গেল খানিকটা | হতভম্ব অর্জুন দেখল, জুতোর গোড়ালির ভেতরে একটা বোতামে চাপ পড়তেই এই কাণ্ড ঘটেছে । এবং তখনই সে কাগজটাকে দেখতে পেল । কাঁপা-কাঁপা হাতে সুন্দর ভাঁজ করা কাগজটাকে বাইরে বের করল সে | একটা সেলোফেন পেপারে ওটাকে এমন করে রাখা আছে, যাতে জলেও নষ্ট না হয় । বের করে ভাঁজ খুলে কাগজটা সামনে ধরল অর্জুন । কালো কালিতে পর পর কয়েকটা শব্দ লেখা ACTH | “বি. পি: ৷ এস. এফ- | শ্যাডো কিসডু দ্য পপলার | ফোর এল টু ইউ |' বারংবার শব্দগুলো, অক্ষরগুলো পড়ল অর্জুন | WAS কিছুই বুঝতে পারছে না | কিন্তু এখন এটা দিনের মতো সত্যি যে, এই জুতোর মালিক খুব গোপন কিছু এই কাগজে লিখে রেখেছেন | তিনি চাননি, কাগজটা অন্য কারও হাতে পড়ক | এবং এখন এটাও স্পষ্ট যে, ওই লোক দুটো জানতে পেরেছিল, FOO মধ্যে কোনও খবর পাওয়া যাবে । ওরা নিশ্চয়ই দেরিতে জেনেছে | হতে পারে লোকটা খুন হয়ে যাওয়ার পরে | অর্জুন রোমাঞ্চিত হল । বি. পি. মানে ব্ল্যাকপুল নয় তো ? মেজর তো আগামীকালই তাকে র্যাকপুলে নিয়ে যাচ্ছেন | ইংল্যাপ্ডের একটি সমুদ্রতীরের শহরের নাম ব্্যাকপুল ৷ সেখানে মেজরের পুরনো TH মাশালি গবেষণা করছেন | সমুদ্রের জলে ঝিনুক এবং মুক্তো নিয়ে নানান পরীক্ষা । মেজর এসেছেন এবার বন্ধুর সঙ্গে ষোগ দিতে | দেশে ফেবার পথে আমেরিকা থেকে উড়ে অর্জুন নেমেছে AA ক”দিনের স্টপওভার নিয়ে । আবার কখনও ইংল্যাণ্ডে আসা হবে কি না সন্দেহ ; বাড়তি ভাড়া যখন লাগছে না, তখন এত-নাম-জানা দেশটাকে কে দেখতে না চায়! জ্বতোর মধ্যে থেকে কাগজটাকে আবিষ্কার করার পর অর্জুন বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ল | লোক দুটো ডিপার্টমেন্টাল শপে যে এইজনো্যেই এসেছিল, তাতে আর সন্দেহ GE | অনেক রাত ধরে চেষ্টা করেও সে কাগজের লেখাটার গোপন অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি । কিন্তু বুঝতে পারছে, কোনও গুরুত্বপূর্ণ বস্তু এই লেখাতে ধরা আছে | তা না হলে কেউ জুতোর মধ্যে অমন কায়দা করে লুকিয়ে রাখে ! শেষ পর্যন্ত সে জুতোটাকে আবার ঠিকঠাক করে শুয়ে পড়েছিল | সকালে ঘুম ভাঙল মেজরের ডাকে | দরজা খুলে সে দেখল, মেজর সেজেগুজে তৈরি | ঘরে ঢুকে মেজর বললেন, “ইয়াং ম্যান, এখনও পড়ে-পড়ে ঘুমোচ্ছ ! আমার মর্নিং ওয়াক শেষ হয়ে গেছে কখন | তৈরি হয়ে নাও, আমরা বেকফাস্ট করেই বেরিয়ে পড়ব 1” চেয়ারে বসে পা ছড়িয়ে মেজর সঙ্গে-আনা সকালের কাগজ খুলে বসলেন | অর্জুন অপ্রস্তুত অবস্থায় তাড়াতাড়ি বাথরুমে চলে এল | সে ১৮



Leave a Comment