For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এই দশা, তা অনুমান করতেও তার বুকের স্পন্দন বুঝি থেমে আসে। একটু সামলে নিয়ে
থেমে থেমে হতভাগ্য কিশোর বলে যায় তার Gord কান্নাভেজা কাহিনী।
এইভাবেই চলছিল। হঠাৎ AGHA ওই এলাকায় এক নতুন ধরনের মারাত্মক কলেরা
মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়লো। চারদিকে লোকজন মরতে লাগলো। তাদের জ্ঞাতিদের
সংসারেও কয়েকজন মারা পড়লো। এলাকার যারা পারলো, দেশ ছেড়ে পালালো। দেশের
মানুষদের বাঁচাতে ও রোগ ঠেকাতে তার বাবা ধরণীমোহন তখন ভলান্টিয়ার-দল গড়ে
দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তিনি মাকে বললেন AGC নিয়ে কিছুদিনের জন্যে মামাবাড়ি
গিয়ে MECH কিন্তু বাবাকে একলা ফেলে মা যেতে রাজি হলেন না। তখন তাদের বিশ্বাসী
পুরনো CUTE মনোহর হাজরা-কে দিয়ে বাবা তাকে মামাবাড়ি পাঠিয়ে দিলেন।
তারপর মাসের পর মাস কেটে যায়। মা-বাবার কোনও খবরই রঞ্জু পায় না। শেষে
একদিন তার মনোহর জ্যাঠা এল, তাকে জানাল, সে সবদিক দিয়েই সর্বস্বাস্ত। তার বাবার
ওই কলেরা রোগ হয়েছিল, তাতেই তিনি মারা যান। বাবার শোকে মা শয্যা নেন। শেষ
পর্যন্ত ওই রোগে তিনিও চলে গেলেন। জমিদার ও জ্ঞাতিদের ষড়যন্ত্রে বাড়িঘর লুঠ হয়ে
গেছে, জমিজমাও সব বেদখল হয়ে গেছে। সেই থেকেই সে মামাবাড়িতে আছে। রঞ্জু এতক্ষণ নিজেকে যাহোক সংযত রাখছিল, আর পারলো না। হেঁটমাথায় আকুল
কান্নায় ভেঙে পড়লো। আর সাবিত্রী দেবী! রঞ্জুকে তিনি কি সান্তনা দেবেন? নিজে তিনি
বোবা হয়ে গেছেন। এ কী অকল্পনীয় মর্মান্তিক বিপর্যয়! নিঝুম দুপুরে নীরবে কেঁদে চলে দুটি প্রাণী। AG দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। আজ হোক কাল হোক, আবার তাকে ফিরে যেতে হবে
মামার কাছে। তাকে নিজেদের কাছে রাখতে পারলে সবচেয়ে স্বস্তি পেতেন নিরণ্জনবাবু এবং
সাবিত্রী দেবী। কিন্তু উপায় নেই। তাতে pore দুর্নাম রটবে অনাদিবাবুর নামে। অথচ AG
যে অবস্থায় তার কাছে ছিল, সে অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না। অনেক ভেবেচিন্তে তারা স্থির করলেন, রঞ্জু মামাবাড়ি থাকলেও তার আর্থিক ও
অনান্য দায়দায়িত্ব তারাই গ্রহণ করবেন। এছাড়া গত্যস্তরও নেই। এজন্য Braga বাড়ির
বারান্দার একটা অংশ মজবুত বেড়া দিয়ে ঘিরে একখানা ঘর তৈরি করা হবে। সেখানে
প্রয়োজনীয় বিছানাপত্র সহ ছোট একটা খাট ও লেখাপড়ার টেবিল থাকবে। এটাই হবে
AGA পড়াশুনো ও শোবার ঘর। উপরন্তু মঞ্জুকে পড়াবে AQ! সে বাবদ মাসে ২৫ টাকা করে অনাদিবাবুকে দেওয়া
হবে AGA খাইখরচের জন্যে। অনাদিবাবু ও তার স্ত্রীকে নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এ প্রস্তাব যে তারা শোনামাত্র
লুফে নেবেন, তা চোখ বুজে বলা যায়। সমস্যা হলো রঞ্জুকে নিয়ে। এ কদিনে AGTH তারা
AVE বুঝেছেন, এ প্রস্তাবে তাকে রাজি করানো হবে এক বিষম মুশকিলের ব্যাপার। এবং হলোও তাই । প্রস্তাব শুনে রঞ্জু সোজা বেঁকে বসলো ঃ না, এটা কখনই হতে
পারে না। মামাবাড়িতে সে আগে যেমন ছিল, তেমনি থাকবে। কুনালের সমবয়সি হলেও, গত বছর দুয়েক ধরে নিষ্ঠুর ভাগ্য তার জীবন নিয়ে
যে ছিনিমিনি খেলছে, ডোবাতে-ডোবাতে যেভাবে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে অন্ধকার থেকে
অন্ধকারে, তাতে তার মনের বয়স বেড়ে গেছে অনেকখানি। উচ্চশিক্ষিত অবস্থাপন্ন মা-
বাবার একমাত্র আদরের ধন আজ কাঙালেরও অধম--এ নির্যাতন সে যে এই কচি বয়সে ২০ দুঃসাহসী রণ