ভারতবর্ষ [বর্ষ-১৮] [খণ্ড-২] | Bharatbarsha [Yr. 18] [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পৌষ--১৩৩৭ ] সাধকবা উপকারকভাবে অল্প, রয়ি, গো, স্বারাজ্যয ইত্যাদির চিন্তন ও সাধন চলিত । অন্ততঃ এইটাই ছিল বেদপন্থী সমাজের একটা দাবী | অন্ন প্রভৃতি চাওয়ার যে মনোভাব, আর ore চাওয়ার যে মনোভাব, এ দুইটি মনোভাবের মধ্যে কোনো ° মিল থাকিতে পারে না--এই মনে করিয়া পাশ্চাত্য afecoal বিষম তুল করিয়াছেন। খৃষ্টানদের ধর্শাশাস্তে দেহকে, দেহের ভোগকে, জড়কে ও জড়ের উপকরণ- গুলিকে, একেবারে তুচ্ছ করার একটা Sts গোড়া হইতে আছে দেখিতে পাই; মানুষের জন্মটাই যেন একটা পাপের মধ্য দিয়া, কেন না, দৈহিক সম্পর্কের ফলে এই জন্ম হইয়া থাকে । আমরা সাধারণ মানুষ সকলেই এই গোড়ার গলদ হইতে জঙ্সিয়াছি। ত্রাণকর্তা যীশু অযোনিসম্ভব- আমাদের মত স্ত্রীপুরুষের সংসর্গে তার জন্ম হয় নাই। সুতরাং, সেই গোড়ার গলদ তাকে স্পর্শ করিতে পারে ate তিনি জীবের তআ্রাণের aa যে হসমাচার প্রচার করিলেন, তার FMR এই--এ দেহটা পাপময়, অতএব এ দেহের সম্পর্ক যতটা ছাঁড়িতে পারা যায়, ততটাই ভাল। আমাদের দেশে কিন্তু দেহকে ও জড়কে এই রকম ভাবে “নোংরা” করিয়া দেথা গোড়া হইতে চলন ছিল না। শেষকালে TACHA প্রভাবে, এবং আরও অন্যান্য কারণে, সে রকম করিয়া দেখা আমাদের মধ্যেও কিছু কিছু চ”'ল হইয়াছে । গোড়ায় ব্রহ্গবনস্ত একটা আলাদা বস্তু, আর জড় একটা আলাদা বস্ত--এই রকম-ধারা একটা ভেদ- দৃষ্টি তেমন বাহাল হয় নাই। তখন অদ্দিতিরই আমল ছিল, দিতি ঠাকুরাণী sort ঠাঁকুরের “সুওরাণী” তখনও হন নাই। এই কারণে মনে হয়, যারা যজ্ঞের BAIT করিতেন, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে যজ্ঞের মুলতত্তব স্বরূপ ব্রহ্মতত্ব ও স্ষ্টিতত্ব কিছু কিছু ভাবনা করিতেন। সময়ে সময়ে সেটা ভুলিয়া যাবার আশঙ্কা তাদের যে মোটেই ছিল না এমন নয়। আশঙ্কা ছিল বলিয়াই শ্রুতি অনেক স্থলে কেবল কর্মের অন্ষ্টাতাদিগকে বেশ একটু শাসাইয়া দিয়াছেন। আচ্ছা, আবার সেই গোড়ার কথায় ফিরিয়া যাওয়া যাক্‌। খণগৃবেদ দশম মণ্ডল ১২৯ সুক্তের তৃতীয় মন্ত্রে আছে দেখিতে পাই--“তপমন্তন্মহিনা জায়তৈকম্‌” ; এখানে তপঃ বা তপস্তার কথা আছে দেখিতেছি। কেবল এখানে অহুন্ল্যান্স S51 ৬ বলিয়া নয়, সংহিতার আরও অনেক স্থলে এবং ব্রাহ্মণ- উপনিষদ্ধের অসংখ্য স্থানে আমরা দেখিতে পাই লেখা আছে--তিনি তপঃ করিরাছিলেন; প্রজাপতি তপস্তা করিয়াছিলেন; তপস্যা! করিয়াই এই সব স্ষ্টি করিলেন। এখন আমাদের তলাইয়া দ্বেথা উচিত, এ “তপঃ বা Sys’ কথার আসল মানেটা কি। মুগ্ডকোপনিষৎ বলিয়াছেন -শ্যস্য জ্ঞানময়ং তপঃ:”। তবেই আমরা দেখিতেছি যে, আদি কারণের সেই তপস্তা জ্ঞানময় তপস্যা, আমাদের মত একটা! কঠোর Pent নয়। তিনি তপস্তা করিয়াছিলেন মানে, তিনি জানিয়াছিলেন। কেন- যিনি সর্বজ্ঞ সর্ববিৎ, তার আবার অজানা কি, যে তিনি জানিবেন Sta জ্ঞাত ত নিত্যপূর্ণ, অথবা সত্য, অনন্ত জ্ঞানই তাঁর wat) তাই যদি হয়, তবে তিনি জানিয়া- ছিলেন এ কথার তাৎপর্য কি? অন্য প্রসঙ্গে ary অঙ্গুভব সত্তার যে নথি আমরা coats করিয়া রাখিয়াছি, সেই নথি We ব্রস্মের এই জ্ঞানময় তপঃ আমরা সহজে বুঝিতে পারিব। seas দিক্‌ হইতে সত্য-সত্যই স্ষ্ট স্থিতি লয় বলিয়া একটা কোন ব্যাপার আছে কি না, তা আমরা জানি না; জানিতে চাহিলে আমাদের বুদ্ধি ও কল্পনা দুই-ই হার মানিয়| ফিরিয়া আসে । সংহিতার এ সুক্তের প্রথমে ও শেষে সেই অনির্বচনীয়তার কথাই বলা হইয়াছে । কিন্তু আমরা, আমাদের দিক্‌ হইতে, Ve বা লয়ের মত কোন এক রকম অবস্থা না ভাবিয়া যেন পারি না। আমরা দেখিয়াছি যে, আমাদের নিজেদেরই WEST সেই রকম ভাবিতে আমাদের প্ররোচিত করে। তাই আমরা ভাবি, এক সময়ে এ সব কিছুই ছিল না; তার পর প্রজাপতি সেই প্রলয়ের রাজির মধ্যে গা-ঢাক৷ দিয়া এই সকল তৈয়ারি sfan ফেলিলেন। বলা বাহুল্য যে, এটা আমাদের ভাবনা। ভাবনা অঙ্গভবের সঙ্গে মিলাইয়াও করা যাইতে পারে, অথবা অঙ্গুতবের সঙ্গে কোনো রকম মিল রাখিবার চেষ্টা না করিয়াও করা যাইতে পারে। প্রথম রকমের হইলে সে ভাবনা সত্য হওয়া সম্ভব; শেষের রকম হইলে, সে তভাবনাতে মত্য না থাকাই 787 | এখন নিজের অন্তব পুজি করিয়া আমরা ব্রদ্ধের জগৎ-স্ষ্টর একটা sen সবাকিতে বসিয়াছি। আমরা



Leave a Comment