চাঁদের পাহাড় [সংস্করণ-১৩] | Chander Pahar [Ed. 13]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রামেশ্বর মুখুয্যের স্ত্রী ভালো বুঝতে পারলেন না তার জামাই কত দূরে গিয়েছে। অতটা দূরত্বের তার ধারণা ছিল না। তিনি চলে গেলে শঙ্কর ঠিকানাটা নিজের নোট বইয়ে লিখে রাখলে এবং সেই সপ্তাহের মধ্যেই প্রসাদ্ববাবুকে একখানা চিঠি দিলে। শঙ্করকে তার মনে আছে fe? তাঁর শ্বশুরবাড়ির গায়ের ছেলে সে । এবার এফ. এ. পাশ দিয়ে বাড়িতে বসে আছে। তিনি কি একটা চাকরি করে দিতে পারেন তাদের রেলের মধ্যে ? যতদূরে হয় সে বাবে | দেড়মাস পরে, যখন শঙ্কর প্রায় হতাশ হয়ে পড়েচে চিঠির উত্তর প্রাপ্তি সম্বন্ধে, তখন একখান! খামের চিঠি এল শঙ্করের নামে | তাতে লেখা আছে : মোস্বাসা। ২নং পোর্ট স্ট্রীট প্রিয় শঙ্কর, তোমার পত্র পেয়েছি। তোমাকে আমার খুব মনে আছে। কন্জির জোরে তোমার কাছে সেবার হেরে গিয়েছিলুম, সে কথা ভুলিনি। তুমি আসবে এখানে ? চলো এসো | তোমার মতো ছেলে যদি বাইরে না বেরুবে তবে কে আর বেরুবে? এখানে নতুন রেল তৈরি হচ্ছে, আরও লোক নেবে। যত তাড়াতাড়ি পারে৷ এসো | তোমার কাজ জুটিয়ে দেবার ভার আমি নিচ্ছি। তোমাদের-- প্রসাদদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮



Leave a Comment