শুভায় ভবতু [সংস্করণ-১] | Shubhaya Bhabatu [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কিছুই প্রাণ খুলে বলা যেমন সম্ভবও নয়, নিরাপদ ময়, তেমনি আমার দেখা মানুষদের আমি দেখলাম কেমন করে, সেইটুকু না শোনাবার কারদা কিছুতেই আমার মাথায় আসে না। এ রকম অবস্থায় এক করা যায়, রামবাঁবুর, শ্যামবারুর মুখ থেকে যেমন শুনেছিলাম ঠিক তেমনটি করে শোনানো ৷ অর্থাৎ রামবাবু-শ্যামবাবুকে আমদানি করতে হয়। এটাও যে একটা আগাপাস্তলা ফাকিবাজি। মুশকিল আর কাকে বলে! কোন্‌ পক্ষকে CHO HUE BES, HATA থেকে যে আরম্ভ ক্রি, কি দিয়েই বা করি আরম্ভ, এ এক মুহাসমস্ত| বটে | অনেকদিন আগে এই রকমের এক ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছিলাম | এক দূর সম্পর্কের দাদা চাকরি করতেন লাহোরে । মাইনেও পেতেন যেমন উপরিও ছিল তেমনি। মানে, দাদা বেশ শাসালো-গোছের ছিলেন। হঠাৎ তার সখ চাপলে একটি বিয়ে করবার। বাঙলা দেশে পাত্রী, দেখা আরম্ভ হয়ে গেল। আত্মীয় স্বজন সকলে চেষ্টা করতে লাগলেন একটি সব-দিক-থেকে চমৎকার পাত্রী জোটাবার। দাদা জানতেন যে আমি কলকাতায় থাকি তখন । আমার কাছে চিঠি লিখলেন, অমুক ঠিকানায় গিয়ে অমুকের মেয়েটিকে দেখে পত্রপাঠ সকল সমাচার জানাও | চিঠির সঙ্গে পাত্রী দেখার খরচও এল ৷ পরিমাণ আমার তখনকার তিন “মাসের খাওয়া-পরার মোট খরচের চেয়ে ঢের বেশী এমন দাদার অনুরোধ ঠেলা যায় না। কাজেই একদিন ছোট রেলে চেপে পাত্রী দেখতে রওয়ানা হলাম | সকালেই গেলাম সেখানে । তাঁরা আহারাদির যথোচিত ব্যবস্থা করলেন। পাত্রী দেখানো হবে বারবেলা বাদ দিয়ে সেই বিকেলে । দুপুরে বিশ্রাম করার জন্যে একখানা ঘরে বিছানা দেওয়া হল। আহারটা একটু চাপ গোছের হওয়ার দরুণ একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম | হঠাৎ উঠে বসতে হল ধড়মড়িয়ে। আলোতে ঘুম হবে না' বলে দরজা” জানালা সব বন্ধ ছিল। কিন্তু দিনের বেল! তাতেও যথেষ্ট আলো৷ ছিল ৪



Leave a Comment