মনীষী-জীবনকথা [সংস্করণ-২] | Manishi-jibankatha [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দেখা করার কথা। হোটেল থেকে বেরিয়ে বাজারের কাছে *্কটো-স্ট্‌ভিয়োকে ব'লে গেলাম আধ ঘণ্টা বাদে বিদ্যানিধি-মঙহাশয়ের বাড়িতে আসতে । আমি একটা সাইকেল-রিক্বৃশ৷ নিয়ে আগে রওনা হলাম | রিকৃশা চলেছে আর আমি অনবরত ঘড়ি দেখছি-_ দেরি হয়ে না ata) সময় সম্বন্ধে তিনি নাকি ভয়ংকর সজাগ। কিন্তু দেরি হয়ে গেল দশ মিনিট। রিকৃশা আমাকে অযথা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল | বিদ্যানিধি-মহাশয় অপেক্ষা! ক'রে বসে ছিলেন। গিয়েই বললাম, চেঁচিয়েই বলতে হল, কানে তিনি এখন কম শুনতে পান, বললাম, “দশ মিনিট দেরি হয়ে গেল I” আমার দিকে তাকালেন, দেখলাম we হন নি। বললেন, “আমার বয়স কত জান ? বিরানব্সই বৎসর। Pease বৎসর নয় মাস্‌ ।” সেই দিন তাঁর সঙ্গে দেখা, যেদিন তার বিরানব্বই বছর নয় মাস বয়স ছিল। তার গলার স্বর এখনো কানে বাজছে | তার পর কেটে গিয়েছে কয়েকটা বছর। আরো প্রায় পাঁচ বছর। সাতানব্বই বছর বয়সে হঠাৎ তিনি লোকান্তরিত হলেন | যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি বাংলাদেশের একটি শতাব্দীর জীবস্ত ইতিহাস ছিলেন। তার জীবনের সঙ্গে সঙ্গে শতবর্ধের ইতিহাসের দীর্ঘ অধ্যায়টি AAS হয়েছে। সেই প্রায়-শত বর্ষের ইতিহাস তার নিজের মুখ থেকে শোনার সৌতাগ্যের কথা আজ মনে পড়ে। সেদিনের পর ক্রমশ তার শারীরিক বয়ল বাড়তে লাগল, কিন্তু সেই সঙ্গে তার মানসিক বয়সের CHICA] তারতম্য হল ব'লে মনে হয় নি । কেননা, ভার ধীশক্তি মননশক্তি ও রচনাশক্তি অব্যাহত যে ছিল, তার প্রমাণ তিনি দিয়ে গেছেন । বিত্িন্ন পত্রিকায় তার গবেষণামূলক প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হতেআমরা দেখেছি। যতই দেখেছি, আনম্দে ও বিস্ময়ে হতবাকও হয়েছি ততই ; সেই সঙ্গে সম্ভবত লঞজ্জিতও হয়েছি। প্রায়-শতায়ু বৃদ্ধের পক্ষে যা সম্ভব হচ্ছে হয়তে৷ কোনো তরুণ যুবক কিংবা প্রৌঢ়ের পক্ষে ততটা কর্মক্ষমতা! সম্ভব নয়।



Leave a Comment