রামুর ইতিহাস | Ramur Itihas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করা হয়। পরে প্রতিরক্ষা দেওয়ালের দুই পাশে ৫০ গজ অন্ত র অন্তর আগুন জ্বালাবার ব্যবস্থা থাকে । হাতি খেদার ভিতরে প্রবেশ করার ১০/১৫ সেকেন্ডের মধ্যে দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। গেটে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য একজন লোক সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত ace, feo আমলে রামু থানার ঈদগড় ও গর্জনিয়াতে CM সাহায্যে অনেক হাতি ধরা হতো। অতীতে রামুতে হাতি ছাড়াও AMA (বনগরু) ধরবার জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হতো । এ অঞ্চলে এক সময় প্রচুর বাঘও পাওয়া যেত । কিছু দিন আগেও ঈদগড়ের রাস্তায় বনের বানরদের খেলা করতে দেখা গেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে পশুপাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে৷ TIN এবং কোয়েল (কয়া) পূর্বের তুলনায় কম হলেও পাওয়া যায়। হরিণ, বনমোরগ প্রভৃতি মাঝে মধ্যে দেখা যায়। বনজ সম্পদের পাশাপাশি খনিজ তৈল পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া AA A | এ অঞ্চলে কয়লা পাওয়ার সম্ভাবনাও আছে | সমুদ্রের বালি থেকে আরো অনেক খনিজ সম্পদ আহরণ করা যেতে পারে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা বিধায় এখানে প্রায়ই প্রাকতিক দুর্যোগ নেমে আসে। বিশেষ করে সামুদ্রিক ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের ফলে প্রায় প্রতি বছরই জীবন এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৫৫৯ খি্রস্টান্দে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস, ১৭৯৫ সালে প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়, ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রচণ্ড হারিকেন, ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে মহাপ্রলয় জীবন, ঘরবাড়ি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে৷ ১৮৯৭ সালে ভড় ও জলোচ্ছাসে এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় | অনুরূপভাবে ১৯০৪, ১৯০৫, ১৯৪৬. ১৯৫৮, ১৯৬০, ১৯৬৩, ১৯৬৯ এবং ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ১৮



Leave a Comment