For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জগৎ সে এক কৃত্রিম ও মন-গড়া জগৎ, বাস্তবে সে জগৎকে যে কোনোদিন কোথাও
খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, বাংলা সাহিত্যে stews প্রথম সে কথা বললেন।
বিজ্ঞানের কৃতী ছাত্র ও যশস্বী অধ্যাপক না হলে, এবং বিজ্ঞান-বিদ্যায় সত্যিকারের
ASST না থাকলে এমন রচনা সম্ভব নয়। আবার শুধুমাত্র বিজ্ঞানবুদ্ধি থাকলেও এমন
রচমা লেখা যায় না। বিজ্ঞানের সঙ্গে দর্শনের মণিকাঞ্চন যোগ না ঘটলে, বিজ্ঞানকে এমন
করে দর্শন করা যায় না; দর্শনের এমন বৈজ্ঞানিক বিচার sal যায় না। রামেন্দ্রহুন্দর
যে বিজ্ঞানবিদ্যাকে দর্শন করেছিলেন, তার মূলে ছিল তাঁর গভীর দার্শনিক Gaye | এই অন্তদৃষ্টি ছিল বলেই বাংলার দর্শন-সাহিত্য ও ধর্মবিষয়ক আলোচনায়ও ACE
সুন্দর নূতন পথনির্দেশে সক্ষম হয়েছিলেন। বৈজ্ঞানিকের নিরপেক্ষ ও সংস্কারবিমুক্ত
দৃষ্টির সাহায্যেই তিনি আমাদের দেশের প্রাচীন যুগের Sp ও দর্শনচিস্তার
অপক্ষপাত আলোচনায় সমর্থ হয়েছিলেন। 'কর্ম-কথা' (১৯১৩), “বিচিত্র প্রসঙ্গ
(১৯১৪) ও যজ্ঞকথায় (১৯২০) ধর্মকর্ম সম্বন্ধে আমাদের ভুল ধারণা দূর করবার
' চেষ্টা করেছিলেন রামেন্দ্রহুন্দর। কিন্তু স্মরণে রাখা দরকার, রামেন্দ্রহুন্দরের সমগ্র সাহিত্য-সাধনা মাতৃ-ভাষাপীতি ও
দেশপ্রেম থেকে উৎসারিত । তাই দেখি, রামেন্তরস্ুন্দরের লেখা 'চরিত-কথা'য় (১৯১৩)
আছে দেশের বরেণ্য মনীষীদের প্রসঙ্গ, 'নানা কথা'মন (১৯২৪) আছে স্বদেশের বহু
বিচিত্র সমস্ত! ও তাদের সমাধানের পন্থা, আর “শব-কথা*য় (১৯১৭) স্থান পেয়েছে
বাংলা ব্যাকরণ ও বৈজ্ঞানিক পরিভাষা বিষয়ক কয়েকটি প্রবন্ধ | বিজ্ঞানের পরিভাষা নিয়েও এমন গভীর ও সুচিন্তিত আলোচনা! বাংলা সাহিত্যে
আর কেউ করেন নি। বাংলায় বিজ্ঞানের স্থায়ী পরিভাষা গড়ার স্বপ্ন এমন করে
দেখেন নি আর কেউ। রামেন্জ্রহুন্দর শুধু বিজ্ঞানের সাহিত্য রচনা করেন নি; সে
সাহিত্য-সহুষ্টির উপযোগী ভাষাও গড়তে চেয়েছিলেন | কিন্তু তবু বলব, রামেন্দ্রস্ন্দরের শ্রেষ্ঠত্বের আসল পরিচয় এখানে মিলবে না। তার
দৃষ্টিভঙ্গির অভিনবত্তে, জগৎ ও জীবন সম্বন্ধে তার বিশিষ্ট এটিচিউড.এর ( attitude )
মধ্যেই মিলবে তার অনন্যসাধারণ প্রতিভার পরিচয়। কোথায় দাড়িয়ে কিভাবে দেখলে,
দেখবার স্থবিধা হয়, কিভাবে বললে বোঝান সহজ হয়, সে সম্বন্ধে আশ্চর্য এক বিশিষ্টতা
ছিল তাঁর | বাংলার জ্ঞানাত্মক সাহিত্যজগতে এমন বিশিষ্ট সাহিত্যসাধক খুব অল্পই আছেন।
উচ্চাঙ্গের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় মাতৃভাষাকে উন্নত করবার মানসে এই পথিকৃতের
চলা পথের দিকে তাকাতে Saray করি বাংলার বিজ্ঞানরসিক ও সাহিত্যান্গুরাগী
জনসাধারণকে; এবং সেই সঙ্গে বলে রাখি, উচ্চাঙ্গের জ্ঞানবিজ্ঞান-চর্চায় মাতৃভাষাকে
aft ব্যবহার করতে পারি, প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম ও কর্মাদর্শের প্রতি দেশবাসীর
হারান শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসকে যদি ফিরিয়ে আনতে পারি, কর্মে ও কথায় আমরা যদি
সত্যিকারের ভারতীয় হতে পারি, তবেই রামেম্জ্রস্ুন্দর ত্রিবেদীর প্রতি সত্যিকারের
সম্মান দেখান হবে। পথিকৃৎ রামেন্দ্রহনার ৫