আবার বাতাস বয় | Abar Batas Bay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দেওয়ালে পলিটিক্যাল শ্লোগান, চারদিকে হাজারটা পোস্টার। পাশ থেকে উঠে আসে বাজারের অবিরল হইচই, চিৎকার, কলেজের ভেতরটাও বাইরের বাজারের মতোই। কত যে ছাত্রছাত্রী তার লেখাজোখা নেই। অন্য কলেজে যাদের ঠীই হয় না, এখানে তাদের জন্য দরজা হাট করে খোলা। সারাক্ষণ চেঁচামেচি, উৎকট হট্টগোল। দশ-বিশ দিন পরপর স্ট্রাইক, নইলে মিছিল করে ময়দানে যাওয়া। সব স্বপ্নের বিসর্জন ঘটে গিয়েছিল শিবতোষদের। এমন একটা ধাক্কা যে লাগবে, কেউ কি ভাবতে পেরেছিল! দামি স্কুল থেকে ওইরকম একটা কলেজে গিয়ে মন বসছিল না রণ্টুর। | কখনও বসে? PONS ফ্রাপ্ট্রেশন-_-অপার হুতাশা। প্রায়ই ক্লাস করত না। কাছাকাছি পার্কে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকত। একটা বছর ফাইনাল পরীক্ষাই দিল না, পরের বছর বসল বটে, কিন্তু দু'টো সাবজেক্ট দিয়ে আর গেলই না। তারপর কলেজ ছেড়েই দিল। সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকত । ঝিমধরা, মনমরা, বিমর্ষ | তার সব eS ইচ্ছাশক্তি ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। রত্বময়ী আর সঞ্চারী কত Adin, দু'টো বছর নষ্ট হয়েছে তো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েনি। নতুন করে শুরু করুক রণ্টু। চেষ্টা করলে কী না হয়? কিন্তু কে কার কথা শোনে! AGA গৌ, সে আর পড়বে না। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শেষ পর্যস্ত তাকে একটা নামী কম্পিউটার সেন্টারে ভর্তি করে দিল সঞ্চারী। ওখান থেকে সার্টিফিকেট পেলে কল সেন্টার-টেন্টারে চাকরি-বাকরি হওয়া সম্ভব। বাড়িতে MPAA জন্য একটা কম্পিউটারও কিনে দেওয়া হল। ব্যাঙ্ক থেকে এজন্যে লোন নিতে হয়েছে সঞ্চারীকে। মাসে মাসে ইনস্টলমেন্টে তা শোধ করতে হয়। নিজের ঘরে এসে আলো জ্বালল সঞ্চারী। একটা সিঙ্গল-বেড খাট, ওয়ার্ডরোব জাতীয় ক্যাবিনেট, বইয়ের র্যাক, ছোট একটা ড্রেসিং টেবল, আলনা, পড়ার টেবল-_সব মিলিয়ে মোটামুটি ছিমছাম। কাধের লেডিজ ব্যাগটা পড়ার টেবলে রেখে চটপট আলনা থেকে একটা ঢোলা ম্যাক্সি আর তোয়ালে নিয়ে আ্যাটাচড বাথরুমে ঢুকে গেল সঞ্চারী। গায়ের সালোয়ার-কামিজ ঘামে, রাস্তার ধুলোয় আর গাড়ির ধোঁয়ায় চিটচিট করছে। এগুলো ছাড়তে না পারলে স্বস্তি নেই। বাইরের পোশাক ছেড়ে একধারে রেখে দিল সঞ্চারী। কাল সকালে তাদের কাজের মেয়ে সরস্বতী এসে ওগুলো কেচে দেবে। রোজই দেয়। সাবান মেখে মিনিট পনেরো-কুড়ি ধরে স্নান করল সে। তারপর গা-মাথা ১৬



Leave a Comment