বিশ্বভারতী পত্রিকা [বর্ষ-9] | Bishwabharati Patrika [Yr. ৯]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রথম সংখ্যা “যুরোপযাত্রীর ডায়ারি'র খসড়৷ ৯ রবিবার [১৯ অক্টোবর]। আজ ভোরে Brindisie পৌছন গেল। মুষলধারে বুষ্ট পড়চে। একদল গাইয়ে বাজিয়ে হার্প cane ম্যাণ্ডোলিন নিয়ে ছাতা মাথায় জাহাজের সাম্নে দীড়িয়ে বাজাচ্ছে এবং একটা ছোট ছেলে গান গাচ্চে-_ বেশ লাগ্‌চে। বৃষ্টির জন্যে নাবৃতে পারলুম না। আমার ডেক চৌকি পিয়ানো আপিসে পড়ে আছে। আজ বিকেলে বোধ হয় চিঠি পাওয়া যাবে i— বৃষ্টি থেমে গেছে। Gibbs আমাকে টানাটানি করে ডাঙ্গায় নিয়ে গেল । রাস্তায় যেতে যেতে এক জায়গায় দেখ্লুম-- একট উচু জমির উপর কতকগুলো ভাঙ্গা পাথরের সিড়ি উঠেচে-- উপরে উঠে একটা পুরোণো গির্জা পাওয়া গেল। ভিতরে গিয়ে দেখ্লুম নানারকম টুকিটাকি দিয়ে সাজানো-_- খুব গরীব রকমের ব্যাপার। বেদীর এক জায়গা থেকে একটা পর্দা উঠিয়ে দেখালে ক্রাইষ্টের মোমের প্রতিমুত্তি শয়ান অবস্থায় রয়েচে-_ ate ক্ষতবিক্ষত, রক্ত ঝরে পড়চে-_ অতি ভয়ানক-- এমনতর realistic কাণ্ড sical দেখিনি। সেখেন থেকে বেরিয়ে একটা উচু রাস্তা! ধরে সহরের বাইরে গিয়ে পড়লুম-- দুইধারে Cactus বেড়া দেওয়া WORT aay ফলের বাগান I একট! ফলের বাগানে ঢুকে পড়৷ গেল। আঙুরের ASRS ceive থোলো আঙ্র ফলে রয়েচে। একরকম গোলাপী আঙুর চমৎকার দেখতে-- একরকম সরু সরু TA আঙুর- ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি । আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, পাহাড়ে রাস্তা শুকিয়ে গেছে-_ কেবল দুই ধারে নালায় মাঝে মাঝে জল দাড়িয়ে রয়েচে। রাস্তার ধারে Fig গাছে দুটো! ছোকরা ফিগ্‌ পেড়ে পেড়ে থাচ্ছিল-- আমাদের চেঁচিয়ে ডেকে ইসারায় জিজ্ঞাস] করলে আমরা Fig খাব কিনা আমরা বল্লুম না-- খানিক বাদে দেখি, তারা ফলবিশিষ্ট একটা ছিন্ন অলিভ, শাখা নিয়ে এসে হাজির-_ জিজ্ঞাস! করলে অলিভ, খাবে-_ আমর ব্লুম, না। তার পরে ইসারায় জানিয়ে দিলে যে, খানিকটা তামাক পেলে তারা বড় খুসি হয়-- Gibbs তাদের খানিকটা তামাক দিলে। তার পরে বরাবর তারা আমাদের সঙ্গে চল্ল-- প্রবল অঙ্গভঙ্গী দ্বারা উভয়পক্ষ মনোভাব ব্যক্ত করতে লাগ্ল। জনশূন্য রাস্তা! পাহাড়ে” জমির ও ক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে বরাবর চলেচে-- কেবল মাঝে মাঝে এক একটা ছোট ছোট বাড়ি-- এবং এক এক জায়গায় শাখাপথ নীচের দিকে নেবে বক্র গতিতে BPM হয়ে গেছে। ফেরবার মুখে একট গোরস্থানে ঢুক্লুম। এদের গোর নতুন রকমের-- গোরের উপরে এক একটা ঘরের AS— পর্দা দিয়ে রঙিন্‌ জিনিষ দিয়ে নানারকমে সাজানো একটা বেদীর উপরে অনেকগুলো শামাদানের উপর বাতি লাগানো রয়েছে এবং সাধুদের অথবা কুমারীর প্রতিমৃপ্তি। কোন কোন wa মুতব্যক্তির প্রতিমৃ্তি আছে। বোধ হয় আত্মীয়েরা এসে নানারকম করে সাজিয়ে গুজিয়ে যায়। এক জায়গায় সিড়ি feca নেবে মাটির নীচেকার একটা ঘরে গিয়ে দেখ্লুম, স্ুপাকারে অসংখ্য AWA মাথা সাজানো রয়েচে-_ বোধ হয় পুরোণে৷ গোর থেকে তুলে এ রকম করে রেখে দিয়েচে-- কত বৎসরের কত স্থথ- দুঃখের এই একমাত্র অবশেষ। এ বাক্যহীন, দৃষ্টিহীন, চিস্তাহীন নিশ্চল ভীষণ স্তূপের মধ্যে হয়ত এমন অনেক মাথা আছে জীবিত অবস্থায় যার স্পর্শলাভ করলে অনেক হতভাগ্য Fort হয়ে যেত-- দৈবাৎ হয়ত তাদের দুটো মাথা পরস্পর পাশাপাশি স্থাপিত হ্য়েচে-- এখন কি এ অন্ধকার নেত্রকোটর দিয়ে. তারা পরস্পরকে চিন্তে পারচে-_ হায়, যে স্পর্শহুখ এক কালে এক মুহূর্তের জন্যে বহুমূল্যবান ছিল এখন তা চিরদিনের aca fart) উঃ-- এ মাথাগুলোর ভিতরে কত fowl কত স্মৃতি সঞ্চিত ২



Leave a Comment