বিশ্বভারতী পত্রিকা [বর্ষ-৭] | Bishwabharati Patrika [Yr. 7]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ইহকাল পরকাল ল্রীরাজশেখর ay ইংরেজীতে প্রবাদ আছে-- অন্ধকার ঘরে একজন HH একটি কালো বেরালকে ধরবার চেষ্টা করছে, কিন্তু বেরাল সে ঘরেই নেই; একেই বলে দার্শনিক গবেষণা | দার্শনিক সিদ্ধান্ত বাধাধরা নয়, তাই এই উপহাস। বৈজ্ঞানিক মত প্রায় ATS) কোনও এক মতে যদি মোটামুটি কাজ চলে তবে সকল বিজ্ঞানীই তা মেনে নেন, এবং পরে যদি আরও ব্যাপক ও যুক্তিসপ্মত নৃতন মত আবিষ্কৃত হয় তবে বিনা দ্বিধায় পূর্বের ধারণা ছেড়ে দিয়ে নূতন মতের AAW হন। পূর্বে লোকে মনে করত যে পৃথিবী স্থির হয়ে আছে, Vi চন্দ্র গ্রহ TRUS ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ধারণা অনুসারেও গ্রহণ প্রভৃতি অনেক জ্যোতিষিক ব্যাপারের গণনা! করা যেত সেজন্য সেকালের বিজ্ঞানীরা তা মেনে নিয়েছিলেন | কিন্তু কয়েকজন বুঝেছিলেন যে এই সিদ্ধান্তে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নাী। অবশেষে দেখা গেল যে Ns স্থির এবং পৃথিবী প্রভৃতি aes তাকে বেষ্টন ক'রে ঘোরে-- এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জ্যোতিষগণনা সরল হয় এবং সমস্ত অসংগতির অবসান হয়। তখন সকল বিজ্ঞানীই নূতন মত মেনে নিলেন। নিউটনের মহাকর্ষবাদ এত দিন স্থপ্রতিষ্ঠিত ছিল, কিন্তু আইনস্টাইনের মতাম্নযায়ী সিদ্ধান্ত অধিকতর যুক্তিসংগত মনে হওয়ায় সকল বিজ্ঞানীই এখন তা মেনে নিয়েছেন, যদিও সব রকম Ya গণনায় নিউটনের yeas কাজ চলে | দার্শনিক তত্ত্বে এ রকম সর্বসম্মতি দেখা যায় না। বিজ্ঞানশিক্ষার্থী তার পাঠ্য পুস্তকে যেসব তথ্যের বর্ণনা পান তা হুপ্রতিষ্ঠিত। তথ্যের যারা আবিষ্কত1 বা মতের যারা প্রবর্তক তাঁদের নাম পুষ্ডকে থাকে বটে, কিন্তু তা নিতাস্ত গৌণ। পক্ষান্তরে দার্শনিক পাঠ্য পুস্তকে কোনও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না; শংকর বা রামাহছজ বা বৌদ্ধাচার্যগণ কি বলেছেন, স্পিনোজা হিউম বার্ক:লি হেগেল প্রভৃতির মত কি-- এই সব আলোচনাই থাকে, সত্যজিজ্ঞা্থ পাঠককে দিশাহারা হাতে হয়। আমাদের টোলের বা কলেজের ছাত্ররা al পড়েন তা দার্শনিক তথ্য নয়, দার্শনিক feta ইতিহাস। বিজ্ঞান আর দর্শনের এই প্রভেদের কার্ণ-_ বিজ্ঞান প্রধানত ইন্জ্রিয়গ্রাহ্‌ বিষয় নিয়ে কারবার করে, তার সহায় প্রত্যক্ষ প্রমাণ এবং তদাশরিত অন্থমান; কোনও Prats গ্রহণযোগ্য কিনা তা বার বার পরীক্ষা বা নিরীক্ষার পর স্থির ক্রা হয়। জুল বললেন, এতটা শক্তি রূপাস্তরিত হয়ে এতটা তাপ উৎপন্ন করে; তিনি পরীক্ষা ক'রে তা দেখিয়ে দিলেন। তার পর বহু বিজ্ঞানী অঙ্গুরূপ পরীক্ষা ক'রে নিশ্চিত হলেন যে জুলের সিদ্ধান্ত ঠিক । Mora আছে, মানুষ যেমন জীর্ণ বস্তু ত্যাগ ক'রে নব বস্তু পরে, সেইরূপ জীর্ণ দেহ ত্যাগ ক'রে নব শরীর গ্রহণ করে; কিন্তু গীতাকার প্রমাণ দিলেন না। ars fat বললেন, ঈশ্বরের চৈতন্তই সকল পদার্থের আধার/»কিস্তু কোন্‌ উপায়ে এঁশ্বরিক চৈতন্য উপলব্ধি করা যায় তা বললেন all দার্শনিক মতের এমাণ নেই-- ASS আদালতে sty হ'তে পারে এমন প্রমাণ নেই, তাই পরষ্পরবিরুদ্ধ নানা মতে উৎপত্তি হয়েছে এবং লোকে রুচি অনুসারে পুনর্জন্ম স্বর্থনরক নির্বাণ দ্বৈতবাদ মায়াবাদ দেহাত্মবাদ অজ্ঞাবাদ প্রভৃতি যা খুশি মেনে om



Leave a Comment