সাহিত্য-সম্পুট | Sahitya-samput

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(১৫) শুম্তলা দুর্বাসাকে অবহেলা করিয়াছিলেন, গৃহীর ধর্ম হইতে বিচ্যুত হইয়াছিলেন,' ফলে দুর্বাসার শাপ-- এবং তাহারই ফলে পরবর্ত! নির়ারুণ দুঃখ ৷ বাক্তিগত বিভম বা বিলাসে মুহূর্তের জন্যও স্বধর্মবিশ্বত হইলে তাহার ফল বড়ো শোচনীয় ৷ হরপ্রসায় বলিতেছেন-- “যাহারা শাপ মানেন না, তাঁহারা বলিবেন, শাপ আবার একটা কি ? গুরুতর পাপের গুরুতর শাস্তি। যে যে-কোনো ঝোঁকে পড়িয়া! আপনার corte করিতে মা পারে, তাহাকে শাস্তি পাইতেই হয়। এই যে পাপের শাস্তি, ইহাকেই আমাদের সেকালের লোকে শাপ ব্লিত।” এখানেও দেখিতে পাই সাহিত্যসৌন্দর্য ও সমাজকল্যাণ জড়িত । বস্তুতঃ উনবিংশ শতক এ geese জড়িত করিয়া ছাড়া দেখে নাই, ভাহার চোখ সর্বদাই বাহের মধ্যে গহন Tere অঙসস্ধান করিত, সৌন্দর্য 'ও কল্যাণকে একই ভাবের এপিঠ ওপিঠ জ্ঞান ক্রিত। আশ্চর্য হরপ্রসাদের গদ্ভরীতি। বাংলা গছ্রীতির ক্ষেত্রে যে কয়জন স্থনিপুণ শিল্পী দেখা দিয়াছেন, তিনি নিঃসন্দেহ তাহাদের অন্যতম। কাজেই কিছু বিস্তারিতভাবে তাহার vases আলোচনা করা গেল ।- হরপ্রমাদ MAA ভাষার স্বকীয়তা তাহার বেণের মেয়ে (১৯২০) উপন্যাসে এবং শেষের দিকে লিখিত প্রবন্ধারিতে সব চেয়ে পরিস্কুট। তাহার কাঞ্চনমাল৷ (১৯১৬ ) ও বাল্দীকির জয় (১৮৮১) প্রথম দ্বিকের রচনা, gatas weet প্রকাশিত হইয়াছিল-_- বাল্মীকির জয় ১২৮৮ (১৮৮১) সালে, আর কাঞ্চনমাল] ১২৮৯ ( ১৮৮২- ৮৩) সালে। ছুখানি ares ভাষাতেই বন্কিমচন্দ্রের প্রভাব আছে, কাঞ্চনমালার কাহিনীবিল্যাসে তো আছেই। বন্কিমচন্দ্রের প্রভাব কি ভাষায়, কি কাহিনীর টেক্নিকে, কাটাইয়া উঠিতে তাহাকে অনেক coal করিতে হইয়াছে। বেনের মেয়ে ১৩২৫ (১৯১৮-১৯ ) সালে নারায়ণে প্রকাশিত। ভাষা তাহার সম্পূর্ণ নিজস্ব, যদিচ কাহিনীবিশ্যাসের রীতিতে কোথাও কোথাও বন্কিমচন্দ্র-স্থুলভ টেক্নিক দৃষ্ট হয়। বন্ধিমচন্ত্রের ভাষার সহিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষার মিল ও অমিল উভয়ই আলোচ্য | বন্ধিমচন্দ্রের রীতি হইতে তাহার স্বকীয় রীতির বিবর্তনের যে ইঙ্গিত দেওয়া হইল, BATHS এক জায়গায় একেবারে গোড়া ঘেষিয়া দুইজনের, ভাষায় এঁক্য আছে। ছুইজনেরই ভাষা মূলতঃ যুক্তিসিদ্ধ মনের ভাষা। বন্কিমচন্দ্রের উপন্তাসগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কবিত্বরস আছে। Verses তাহার মন মূলতঃ নৈয়ায়িকের মন। মে কারণেই বন্কিমচন্দ্রের ভাষার চরম উৎকর্ষ তাহার উপস্তাসগুলিতে নয়, তাঁহার প্রবন্ধাবলীতে এবং কষ্ণচরিত্র ace, শেষোক্ত শ্রেণীর রচনায় তাহার নৈয়ায়িক মন



Leave a Comment