পথের সঞ্চয় | Pather Sanchay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পথের সঞ্চয় আমার আর-একদিনের কথা মনে পড়িল। রাত্রে প্রবল ঝড় হইয়া গিয়াছে। সকালবেলা বাতাসের বেগ Shirai গেছে, কিন্তু নদী চঞ্চল । গোরাই নদীর তীরে আমার বোট বাঁধা ; হঠাৎ মনে হইল, নদীর মাঝখান দিয় স্ত্রীলোকের দেহ ভাসিয়৷ চলিয়াছে, জলের উপরে চুল ats পড়িয়াছে, আর কিছুই দেখ যায় না। ঘাটের কাছে যাহারা ছিল আমি সকলকেই ডাকিয়া বলিলাম, “আমার ছোটে লাইফ-বোটটি বাহিয়৷ উহাকে উদ্ধার করিয়। আনো, কী জানি হয়তো বাঁচিয়৷ আছে ” কেহই অগ্রসর হইল না। আমি বলিলাম, “যে-কেহ যাইবে প্রত্যেককে আমি পাঁচ টাক পুরস্কার দিব।” তখনই কয়েকজন লোক নৌকা ভাসাইয়া দিয়! তাহাকে তুলিয়৷ আনিল, এবং মুছিত স্ত্রীলোকটি ক্রমশঃ চেতনা লাভ করিল। পুবস্কারের আশা না থাকিলে কেহই যাইত না। আর-এক্দিন আমি বোটে করিয়! একটা বড়ো৷ বিল দিয়া আসিতেছিলাম। বিলের জল যেখানে নদীতে আসিয়া! পড়ে সেখানে মাছ ধরিবার afael করিবার জন্য জেলেরা বড়ো বড়ো খোঁটা পু'তিয়। জলের নির্গমনপথকে সংকীর্ণ করিয়| দেয়, তাহাতে জলধারার বেগ অত্যন্ত প্রবল হইয়| উঠে ; এইরূপ স্থানে অনেক বোঝাই নৌকাকে বিপন্ন হইতে দেখিয়াছি। এই সংকীর্ণ পথ পার হইবার কালে আমার বোট কোনোমতে খোঁটার আঘাত বীচাইতে faa ভারি একটি সংকটের জায়গায় আটকাইয়া পড়িল। আট-দশ হাত দূরেই জেলের! মাছ ধরিতেছিল। আমাদের সাহায্য করিবার জন্য তাহাদিগকে ডাকাডাকি wal গেল, তাহারা তাকাইয়াও দেখিল না। বোটের মাঝি পুরক্কার কবুল করিল। তাহারা ডাক বাড়াইবার প্রত্যাশায় বধিরতার ভান করিল । ডাক ৮



Leave a Comment