গরিয়সী গৌরী [সংস্করণ-১] | Gariyasi Gouri [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাগানে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর, দরজা দেওয়া । মৃড়ানী ভড়কাল না, দিব্যি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল । সন্দেহ কি, ঘরের মধ্যে সেই সাধু। যে বলেছিল কৃষ্ণে মতি হোক | সেই পথ-জানা পথিক | দেখে যৃড়ানী অবাক হয়ে গেল ৷ ধ্যানমুদ্রিত চোখে আসনে নিশ্চল হয়ে বসে আছে সাধু। সমস্ত ঘর আলো করে বসে আছে। আনন্দে সমস্ত উপস্থিতিটাই তপ্ত-দীপ্ত। কী হল কে জানে, মৃড়ানী তাকে প্রণাম করে দাড়িয়ে রইল একপাশে | তবু ধ্যান ভাঙে না সাধুর | তুই এসেছিস ? ধ্যান ভেঙে তাকাল সাধু। যেন বললে, জানতাম তুই আসবি । আমি জল ঢালব আর তুই কাদা চটকাবি। তাই তোকে আসতেই হবে। “কাল ভোরে গঙ্গাস্নান করে আসবি, তোকে দীক্ষা দেব।” সাধু বললে I মৃড়ানী খুশিতে উৎলে উঠল । তা হলে আর কী চাই! কিন্তু এই রাতটুকু থাকি কোথায় ? বাড়ি গেলে কাল তোরে ফিরে আসা অসম্ভব | এ সোনার স্থযোগ খোয়ানে! যাবে না কিছুতেই। কাল খুব ভালে! দিন। কাল রাম্যাত্রা। পাশেই এক ব্রাহ্মণ গৃহস্থের বাড়ি মৃড়ানী আশ্রয় পেল। “এই রাতটুকু শুধু তোমাদের ওখানে থাকবে ।” সাধু বলে দিলে। “কাল ভোরে গঙ্গান্নান করে আসবে আমার কাছে, আমি ওকে দীক্ষা দেব।' রাসপুর্ণিমার পুণ্য তিথি । মৃড়ানীকে দীক্ষা দিল সাধু। “নাম জপ করে ।” নাম জপ করতে করতে Total তন্ময় হয়ে গেল । হৃদয়-রাস-মন্দিরে টাড়াল বুঝি শ্রীকৃষ্ণ ATTN COIN বুন্দাবনে নয়, মনোবৃন্দাবনে। পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার সংযোগ । প্রেমমহোৎসব। কৃষ্ণ রসিকশেখর, arate, ১২



Leave a Comment