রবীন্দ্রনাথকে লেখা জগদীশচন্দ্র বসুর পত্রাবলী | Rabindranathke Lekha Jagadishchandra Basur Patrabali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ রবীন্দ্রনাথকে লেখা জগদীশচন্দ্র বসুর পত্রাবলী সংবাদ' নামে আর একটি অমূল্য কবিতা | তাছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ক কোন প্রবন্ধ লেখার সময় জগদীশচন্দ্রের পরামর্শ ও সাহায্য নিতেন রবীন্দ্রনাথ । বিভিন্ন রকম সুগন্ধি তেল ও সাবান ব্যবহার করার আগে তিনি জগদীশচন্দ্রের অনুমোদন চাইতেন। রবীন্দ্রনাথ তার “কথা” কাব্য উৎসর্গ করেছেন জগদীশচন্দ্রকে, জগদীশচন্দ্রও নিজের লেখা ইংরেজি বই উৎসর্গ করেছেন বন্ধু রবীন্দ্রনাথকে। “The nervous Mechanism of Plants” বইটির উৎসর্গপত্রে জগদীশচন্দ্র লিখেছেন, ‘To my long friend Rabindranath Tagore’ বিলাতে থাকাকালীন সময় জগদীশচন্দ্র বসু রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখা অনুবাদ করে সে দেশের পত্রপত্রিকায় ছাপাতেন। রবীন্দ্রনাথকে অনুরোধ জানাতেন নতুন লেখা ছাপা হলে তার কপি পাঠাতে। বিলাতে থাকাকালীন সময় জগদীশচন্দ্র আর্থিক সংকটে পড়লে গবেষণা বন্ধ করে দেশে ফিরে আসা স্থির করলে রবীন্দ্রনাথ নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এবং রাজা-মহারাজাদের দরবারে এক রকম ভিক্ষা করে জগদীশচন্দ্রকে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রবীন্দ্রনাথের আর্থিক সাহায্য পেয়ে জগদীশচন্দ্রের পক্ষে পুনরায় গবেষণা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। আর সে গবেষণার ফলাফল তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি। কলকাতা ও দার্জিলিং-এ বসতো তাঁদের ঘরোয়া আড্ডা | এই আড্ডায় ঘন্টার পর ঘণ্টা দু'বন্ধুতে আলোচনা করতেন সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমসাময়িক বিশ্ব প্রসঙ্গ নিয়ে। ভারতবর্ষে বিজ্ঞান গবেষণার পথকে সুগম করে দেয়ার উদ্দেশ্যে জগদীশচন্দ্র কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন বসু বিজ্ঞান মন্দির (BOSE INSTITUTE) | তিনি এই বিজ্ঞান মন্দিরের কমিটিসমূহে বরীন্দ্রনাথকে একাধিক পদ দিয়ে তাঁদের গভীর বন্ধুত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। অপরদিকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করে তার পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতির আসনে বসিয়েছিলেন জগদীশচন্দ্রকে। এই প্রসঙ্গে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “বিশ্বভারতীকে এবার সাধারণের হাতে সমর্পণ করে দিচ্ছি। তোমাকে এর ভাইস প্রিসিডেণ্টের আসনে বসাতে BIS | সম্মতি লিখে পাঠিয়ো। সময় যদি পাও এই সূত্রে কাজের যোগও ঘটবে । . . .” জগদীশচন্দ্র শাস্তিনিকেতনকে আরো ব্যাপক আকারে গড়ে তোলার ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথকে বিভিন্ন সময় চিঠির মাধ্যমে ও মৌখিকভাবে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়েছেন। সাধ্যমত আর্থিক সাহায্যও দিয়েছেন। মৃত্যুর বছরখানেক আগেও বিশ্বভারতীর উন্নতিকল্পে জগদীশচন্দ্র আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। প্রেসিডেন্সী কলেজের বিজ্ঞানাগার জগদীশচন্দ্র নিজের গবেষণার জন্যে ব্যবহার করেন, এটা কর্তৃপক্ষের WHYS হচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষের এই অভিপ্রায়ের কথা জানতে পেরে রবীন্দ্রনাথ বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি শুধু উৎকন্ঠা প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। জগদীশচন্দ্রের জন্যে একটি গবেষণাগার রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল অগ্রণী । এই প্রসঙ্গে মহিমচন্দ্র দেব বর্মণ তাঁর “দেশীয় রাজ্য' গ্রন্থে লিখেছেন, “একদিন রবিবাবুর তলবে জগদীশচন্দ্র বাবুর গৃহে উপস্থিত হইয়া জানিতে পরিলাম, প্রাইভেট কার্যে বিজ্ঞানাগার ব্যবহার কর্তৃপক্ষের অভিপ্রেত নহে ... | রবিবাবু ইহাতে WHS বেদনা eee | বিশেষতঃ বুঝিলেন জগদীশচন্দ্র বসুর নিজের গবেষণাগার না হইলে তাঁহার a নতুন



Leave a Comment