মেমসাহেব | Memsaheb

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
টেন'এ উঠে মীর্জাপুরের বীণাপাণি বালিকা বিদ্যালয়কে ey করার. জন্য কলকাতা এসেছেন, তাও জানতাম না। জানতাম না আরো অনেক কিছু। জানতে পারিনি যে চোদ্দ বছর বয়সেই তিনি তার জীবন-নাটো্যের নায়ক খুঁজতে বেরিয়েছেন। এসব কিছুই আমি জানতাম at | একদিন মণ্টুদাদের বাড়ি থেকে y একটা গল্পের বই নিয়ে CAAT সময় মাথার ওপর একটা কাগজের প্যাকেট এসে পড়ায় চমকে গেলাম | কুড়িয়ে নিয়ে দেখলাম একটা খাম । নাম ঠিকানা কিছুই লেখা ছিল না। শুধু লেখা ছিল, “তোমার চিঠি” । তোমার চিঠি! মানে আমার চিঠি ! মুহূর্তের জন্য ঘাবড়ে গেলাম । ছু'এক মিনিট বোধহয় থমকে দাড়িয়ে ছিলাম। আর একটু হলেই চীৎকার করে মণ্টুদাকে ডাক দিতাম। কিন্তু হঠাৎ যেন কে আমার মাথায় বুদ্ধি জোগাল ৷ চারপাশটা একনজরে দেখে নিলাম। শুধু বুড়ো কাকাতুয়া পাখীটা ছাড়া আর কাউকে দেখতে পেলাম না। থামটা নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলাম। উপরের লেখাটা বারকয়েক পড়লাম, তোমার চিঠি । তারপর দৃষ্টিটা দোতলার দিকে ঘুরিয়ে নিতেই কোনার ঘরের জানলায় হাসিখুশিভর৷ একটা সুন্দরী কিশোরীকে দেখলাম | অনেকদিন আগেকার কথা সবকিছু ঠিক মনে নেই। we আবছা! আবছা মনে পড়ে কি যেন একটা ইশারা করে নন্দিনী লুকিয়েছিল | নারী চরিত্র সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমার বুঝতে কষ্ট হয়নি চিঠিটি নন্দিনীরই লেখা | প্রায় ছুটতে ছুটতে বাসায় এলাম | ঘরের খিল বন্ধ করে চিঠিট! একবার নয়, অনেক বার পড়লাম | চিঠির ভাষাটা আজ আর মনে নেই কিন্তু ভাবটা একটু একটু মনে পড়ে । কিছুটা উচ্ছ্বাস, কিছুটা আবেগ ছিল চপল কিশোরী নন্দিনীর এ চিঠিতে । চিঠিটা পেয়ে তালও লেগেছিল, তয়ও লেগেছিল । তার চাইতে আরো বেশী ১৯



Leave a Comment