জোড়া সাঁকোর ধারে | Jorasakor Dhare

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একবার প্রাইজ বিতরণের সময় এল, ইস্কুলে ছিল একটা মস্ত বড়ো ঘর আগাগোড়া গ্যালারি সাজানো; এক পাশে আছে খান- কয়েক চেয়ার ও একটা টেবিল ৷ রোজ ক্লাস আরম্ভ হবার আগে ছোটোবড়ো সব ছেলের! সেই ঘরে জড়ো হই ৷ রেজিস্টার খুলে মাস্টার একে একে নাম হাঁকেন? আমরা বলি, “প্রেজেণ্ট স্যার, SAAS স্যার ।” নাম ডাকা সারা হলে শুরু হল ড্রিল ৷ গ্যালারিতে বসে ছিলুম, উঠে দাড়াই এবার ৷ মাস্টার হেঁকে চলেন, “দক্ষিণ aw উত্তোলন-_ বাম হস্ত উত্তোলন-_ অঙ্গুলি সঞ্চালন ।' অমনি আমাদের পাচ-পাঁচ দশটা অঙ্গুলি থর থর করে কাপতে থাকে যেন কচি কচি STATS] নড়ছে হাওয়াতে | তার পর পদক্ষেপ; ডান পা বা প৷ তুলে বেঞ্চিতে খুব খানিকটে ধুপধাপ ঠুকে যার যার ক্লাসে যাই । সেই বড়ো ঘর সাজানে হয়েছে প্রাইজ বিতরণের fica, টেবিলের উপরে লাল ফিতেয় বাধা গাদা গাদা চটি মোটা সোনালি রুপোলি নানা রঙের বই । সামনে একসারি চেয়ার-_ বিশিষ্ট লোকের৷ বসবেন তাতে । আমরাও সকলে হাজির গ্যালারিতে অনেক আগে থেকেই ৷ প্রাইজ বিতরণের আগে জিতেন বাঁড়ুজ্জে কুস্তি দেখালেন-- লোহার শিকল ছি"ড়লেন, লোহার বড়ো Wi বল ছু'ড়ে Tce লুফে নিলেন ৷ মস্ত পালোয়ান তিনি । এবার প্রাইজ বিতরণ হবে৷ গোপালবাবু হেডমাস্টার, টাকমাথা, ঘাড়ের কাছে একটু একটু চুল, অনেকটা! এই এখনকার আমার মতোই; তবে রঙ তার আরো পরিষ্কার ৷ গম্ভীর মানুষ; কামিয়ে জুমিয়ে ফিটফাট হয়ে গলায় চাদর বুলিয়ে এসে বসলেন চেয়ারে । ছেলেরা কেউ বুঝুক না-বুঝুক এই-সব উপলক্ষে তিনি ইংরেজিতেই বক্তৃতা করেন । তিনি তার লম্বা ইংরেজি বক্তৃতা শেষ করলেন | তার পর এইবারে একজন মাস্টার উঠে যারা প্রাইজ পাবে তাদের নাম পড়ে যেতে লাগলেন। ছেলেদের নাম ডাকা হতেই তারা টেবিলের কাছে গিয়ে টাড়ায়, হেডমাস্টারমশায় তাদের হাতে লাল ফিতেয় বাঁধা প্রাইজ তুলে দেন। এক-একটি প্রাইজ দেওয়া হয় ১১



Leave a Comment