For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পেরেছিল। আমাকে কয়েক মুহূর্ত ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখে সহানুভূতির গলায় বলল,
“এত বড় রাজ্য, এত লোক, এত সমস্যা-_ কিন্তু পুলিশ ফোর্স কতটুকু! গোটা রাজ্যে
একসঙ্গে নানান ধরনের ঝামেলা শুরু হয়ে গেলে পুলিশের পক্ষে কি সেটা সামলানো
সম্ভব? এ হল ওই চার-হাতি লাঠি নিয়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে মগডালের আম পাড়ার দশা।
আ্যাডিকোয়েট পুলিশ ফোর্স দাও মন্ত্রীকে, তারপর দশ মুখে তার সমালোচনা করো। আমি
পুরো ব্যাপারটা জানি বলেই বলছি, ASA একটা মুহূর্তও নষ্ট করেন না। ওর নজর সবসময়
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার Me! নন্দন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি ওর গুণমুগ্ধ | আত্মবিশ্বাসে টান-টান বন্ধুর কথা শোনার
পর পুলিশমন্ত্রীর আর কোনও দোষ দেখতে পেলাম না আমি। কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থাকার পরে জিজ্ঞেস করলাম, 'কাল তারকেশ্বরের ওই ডাইনির
সাক্ষাৎকার নিলি?” “ga, Ga বলিস না! ছুটির দিনটা বেকার নষ্ট করলাম!” “কেন? ডাইনিটা কি বুজরুক?' 'বুজরুক না খাঁটি বোঝার সুযোগই পেলাম না। “বাড়িতে ছিল না?” “ছিল-ছিল, সেজেগুজে বসে ছিল। দরজা খুলে বেশ কায়দা করে আমাকে অভ্যর্থনাও
জানিয়েছিল |” 'তারপর?' 'তারপর আবার কী, ডাইনির বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা
মশার কামড় খেয়েছি। একটু ছটফটে ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম, “কেন, কী হয়েছিল?” রীতিমত হতাশ মানুষের গলায় নন্দন বলল, “একগাদা পেশেন্ট এসে হাজির। সব
মেয়েছেলে পেশেন্ট। তা, ডাইনি বলল, আপনি একটু বসুন। অনেক দুর-দূর থেকে এরা
এসেছে, ওষুধটা দিয়ে দিই। বলো, এক-এক করে বলো, কী হয়েছে তোমাদের? তাই
শুনে মাঝবয়সী একটা বউ একগলা ঘোমটা টেনে নিয়ে বলল: উনার সামনে বলব না।
উনার সামনে মানে আমার সামনে। মেয়েলি রোগটোগের ব্যাপার | তা, আমি ভদ্রতা দেখিয়ে
ডাইনিকে বললাম: আমি বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা Fala আপনি রুগি দেখে নিন, দেখা
শেষ হলে তবে আসব। সেই বাইরে দাঁড়ানোটাই আমার কাল হল। ডাইনির রুগি দেখা
শেষ হল পাক্কা আড়াই ঘণ্টা ATA | ডাক পড়লে ভেতরে গেলাম। ET দেখে দেখে ডাইনিই
অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেখি দুটো জেলুসিল খাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'আপনি নিজের
ওষুধ খান না? বলল, খাই। তবে খুব দরকার পড়লে এগুলোও খাই। পৌনে তিন ঘণ্টা
পার হয়ে গেছে SAT | বললাম, আর দেরি হলে ফেরার ট্রেন পাব না। আমি পরে একদিন
আসব আপনার কাছে। বলেই কেটে পড়েছি। আমি হাসতে হাসতে বললাম, 'আমি খুব আশা করে এসেছিলাম যে, ডাইনির মন্ত্রপড়া
বাঁটায় চেপে তোর বাড়ি ফেরার গল্প শুনব। নন্দন কিন্তু হাসল না। কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থাকার পরে বলল, “এ ডাইনিটা কেমন ১৮