বিশ্বরূপিণী মা সারদা [সংস্করণ-১] | Bishwarupini Maa Sarada [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ বিশ্বরূপিণী মা সারদ। অনন্তসাধারণ কর্ম, আচরণ ও মহিমাকে fray ও অলৌকিক সামগ্রী বলিয়া অভিমত প্রকাশ করেন, আবার কেহ্‌ Stata দিব্যলীলাকর্ম দেখিয়| ও শুনিয়াও রহস্তময় বলিয়া মনে করেন এবং সেজন্তই সচ্চিদানন্দরূপিণী শ্রীসারদাদেবী যদি আপনার স্বরূপ, সাধক ও সম্ভানদিগের নিকট করুণ] করিয়া] প্রকাশ করেন তবেই তাহা তাহাদিগের পক্ষে নির্ণয় কর] সম্ভব হয়। আমরা উপনিষৎ, গীতা ও অন্তান্ত wily হইইতে আত্মস্বরূপের কথা শুনি ও মর্ম জানিতে পারি, কিন্তু সেই জান) বা AISI করাও নির্ভর করে Bia! ও স্বরপানভূতির Big) কঠোপনিষদে আছে: "তং ark গুঢ়মনপ্রবিষ্টং গুহাহিতং গহ্বরেটং পুরাণম্‌”,-_দুর্র্শ ও ASDA সেই আত্মবস্তু, সেইজন্য একমাত্র ধীর ও Salata জ্ঞানীই অধ্যাত্মযোগের সাহায্যে আত্মার নিরাবরণ রূপ wit বা অনুভব করিতে পারেন। মহাশক্তিরপিণী শ্রীসারদাদেবী-সম্বদ্ধেও এ এক কথা। মায়ার আবরণ মুক্ত না হইলে, অথবা মায়ার আবরণ শ্রীমা মুক্ত করিয়া না দিলে তাঁহার যথার্থ স্বরূপ নির্ধারণ করা কেবলই সাহিত্যকর্মের বা পাণ্ডিত্যের দ্বারা সম্ভব নয়। মনে পড়ে, ভক্ত-কবি গিরিশচন্দ্র (ঘোষ ) একবার শ্রীসারদাদেবীসম্বদ্ধে ভক্তগণকে ডাকিয়। বলিয়াছিলেন ; “ভগবান ঠিক আমাদেরই মতো মানুষ হয়ে জন্মান-_এটা বিশ্বাস করা মানুষের পক্ষে শক্ত। তোমরা কি চিন্তা করতে পার যে, তোমাদের সামনে গ্রাম্যবধৃবেশে জগতের মা দাঁড়িয়ে আছেন! তোমরা কি কল্পনা করতে পার যে, যিনি আজ সাধারণ স্ত্রীলোকের মতো ঘরকয্ন] ও সংসারের আর সব রকম কাজকর্ম করছেন তিনিই জগজ্জননী মহামায়া ও মহাশক্তি। সর্বজীবের মুক্তির জন্য তিনি মাতৃত্বের পরমাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য মর্তো আবিভূত হয়েছেন।” শ্ররামক্ষষ্ঞদদেবের কথাও তাই যে, Bal নহাজ্ঞান- দায়িলী সরস্বতী, সংসারে জ্ঞান দিবার জন্য আসিয়াছেন আপনার রূপ ঢাকিয়া ছদ্মবেশে | পীত্রীভবতারিণী ও শীসারদাদেবী প্রীরামকষ্ণ-সম্তান ও ভক্তগণ জানিতেন যে, শ্রীসারদাদেবী শ্রীণীভবতারিণী আষ্যাশক্তিরই প্রতিমুতি ছিলেন এবং এই পরমরহস্ত শ্রীরামকষ্ণদেব নিজেও জানিতেন। সেইজন্ত তিনি শ্রীসারদাদেবীকে সকল প্রকারে উপদেশ দান afan সাংসারিক ও আধ্যাত্মিক জীবনপথের অভিজ্ঞা পথিক” করিয়া লইয়াছিলেন। 'পলীলীরামকষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ' গ্রন্থে (পঞ্চম খণ্ড) শ্রদ্ধাস্পদ স্বামী



Leave a Comment