বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
12 MB
মোট পৃষ্ঠা
206
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভূমিকা XV একবার লক্ষ্য করুন, সাক্ষাৎকারে জেসি ওয়েন্স কী বলেছেন। তিনি আ্যাথলেটিস্ক,
বাস্কেটবল, আমেরিকান ফুটবল এবং সকার খেলেছেন। এর মধ্য দিয়েই তার দৌড়ের
প্রতিভা আবিষ্কৃত হয়ছে। প্রতিভা হচ্ছে সেই ম্যাজিক এবং বিস্ময়কর রহস্যময় জিনিস
যাকে স্বীকৃতি দেওয়া সহজ, পাওয়া খুব কঠিন। কারণ, এটা শূন্য থেকে পাওয়া
যায়না, নিজের মধ্যে থেকে আসে। এই প্রতিভাকে ধরতে গেলে, এক নতুন শক্তির
দুনিয়ায় নিয়ে যেতে গেলে চাই শৃঙ্খলা। এবং এই শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আমি
আবার জেসি ওয়েন্সের কথাই তুলে ধরছি। “... আমেরিকায় একটা জিনিস আছে যা
আপনাদের এখানে নেই, তা হল, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অনুশীলন। এবং সেই
অনুশীলন যেমন তেমন করে নয়, সুশৃঙ্খলভাবে। আমিও প্রতিদিন অনুশীলন করেছি।
প্রতিদিনের অনুশীলনে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি। কারণ, আমাকে উন্নতি করতেই হবে,
প্রতিদিন নিজে কী করছি তা নিজেকেই নজর রাখতে হত আমার এই বই লেখার প্রেরণা পেয়েছি জেসি ওয়েন্সের গল্প থেকেই। এই বই
আমাদের দেশের সেই সব নবীন আ্যাথলিটদের জনা যাদের প্রতিভা চিহ্নিত হয়েছে।
এই বইয়ের উদ্দেশ্য, সেইসব নবীন আযাথলিটদের নতুন শক্তির দুনিয়ায়, সামর্থ্যের
আঙিনায় প্রবেশ করতে সাহায্য করা। তারা যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সফল হতে পারে
সেজনা শৃঙ্খলার নতুন পর্যায়ে তাদের উন্নীত করতে সাহায্য করা। আমাদের মধ্যে কোনও কিছুর খামতি নেই। ভারতে আট্যথলেটিক প্রতিভাধর
অনেকেই | প্রতিভাধরদের যশের শিখরে পৌছতে সাহায্য করার জন্যই এই বই। তবে প্রথমেই প্রতিভাধরদের বাছাই করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাছাই কীভাবে
হবে সে সম্পর্কে অবশ্য বইয়ে আলোকপাত করা হয়নি। তবে HAPS তামিলনাড়ুতে
কীভাবে প্রতিভাধরদের চিহ্নিত করা হচ্ছে তার বিবরণ রয়েছে। এক্ষেত্রে চীনের
স্পেয়ার টাইম স্কুলের আদর্শ অনুসরণ করা হয়েছে। চীনে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক
স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের পছন্দসই খেলা বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।
স্কুলে খেলাধুলোর সাজসরঞ্জাম তারা অবাধে ব্যবহার করতে পারে। ক্লাস ছুটির পরে
বা ছুটিতেও তারা স্কুলের খেলার জিনিস ব্যবহার করে। চিনের মতো আমরা আমাদের
বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় প্রতিটি স্কুলে অঢেল ক্রীড়া সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে
পারব না। . সে ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি স্কুল পিছু একটা করে স্পোর্টস সেন্টার করে এই
সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। আমি সেদিনের জন্য আশা করে বসে থাকব যেদিন
ভারতের পক্ষে আযাথলেটিক্সে স্বর্ণপদক পাওয়ার স্বপ্ন সফল হবে। পরিশেষে আমি 'দ্য হিন্দু'কে ফটো ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ডি পালাজি বেশ কিছু ছবি এঁকে দিয়েছেন। ধন্যবাদ প্রাপ্য তারও। দুজনের জন্যই
আমি যা চেয়েছি তা বলতে পেরেছি। এরিক প্রভাকর