শ্রীমতী ক্যাফে [সংস্করণ-১] | Srimati Cafe [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এ পাড়ার তিলক ঠাকুর একদিন কি কারণে রাগ ক'রে তাকে বলেছিল, “এ ছোট জাতের মানুষগুলোকে উঠতে বসতে খড়মপেটা করতে হয়।” যেমনি বলা, তেমনি বাঙ্গালী তিলক ঠাকুরকে পাঁজাকোলা ক'রে তুলে প্রথমে ছাড়িয়ে নিয়েছিল তার পায়ের খড়ম। হয়তো আছাড় মারত। কিন্তু তা' না ক'রে মাটিতে শুইয়ে দিয়ে বলেছিল, 'বল বাউন ঠাকুর, এবার তোমার খড়ম তোমার পিঠে ভাঙ্গলে কোন্‌ CTA এসে রক্ষে FATT ৰোধ করি তিলক ঠাকুরের cosas ক্ষমতা ছিল না সেকথার জবাব creat! ঘটনাটার সাক্ষী ছিল Ger! সেইদিন থেকে বাঙ্গালীর সঙ্গে তার একরকম THE গড়ে উঠেছিল। বাঙ্গালী আবার বলল, ঠাকুর ছিটেফৌটা পেসাদও কি নেই? ভজু তাকিয়ে দেখল, ঘুগনি খানিক প'ড়ে আছে তখনো। বলল, “ওই পেসাদের মত একটুখানি প'ড়ে আছে। বেচা যাবে না। খাস্‌ তো এমনি খা। বাঙ্গালী বলল, 'বাঁচালে ঠাকুর। খিদেয় পেট য্যানো হেদিয়ে পড়েছে।' আর একজন বলে উঠল, ‘oy A আজ রইল গো বাবু। এক মুহূর্তের জন্য ভূজোড়া কুঁচকে উঠল ভজুর। বলল, “হিসেবের বেলায় তো বল্বি, এত খেলাম কবে? হিসেব ক'রে খাস্‌।' এমন সময় ঢং ঢং করে সামনের কারখানাটার পেটা ঘড়িতে Ar বাজল। চমকে উঠল SH) সবাইকে চা দিয়ে সে বাইরে রাস্তায় এসে দাঁড়াল। এদিকে ওদিকে দেখল। শূন্য রাস্তা। ভেসে আসছে একটা রেল ইঞ্জিনের ঝুক ঝুক শব্দ সেইসঙ্গে থেকে থেকে 'হেইয়ো' ধ্বনি! SRB | দমকা BOA গাছ গাছালির ফাঁকে পুবে দেখা যায় একটা পুরনো দোতলা বাড়ী। আবছায়াতে ঘাপটি মেরে AWG আছে যেন একটা কিছুতাকৃতি মস্ত জানোয়ার। দোকানের পরে এক ফালি জমি, তারপরেই ভজুদের বাড়ী। রেলিং দেওয়া বারান্দা। কে যেন বারান্দায় রয়েছে দাঁড়িয়ে, রেলিং-এ ভর দিয়ে রাস্তার স্তিমিত আলোর এক কণা বারান্দার এক কোণে এসে পড়েছে। সে আলোয় লক্ষ্য করা যায় একখানি ফর্সা হাত, নিখুঁত চিবুকের একটি পাশ। AM বাকি সবটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন দাঁড়িয়ে আছেন বকুল মা। ভজুর বকুল মা। তার মায়ের বকুলফুল ছিলেন তিনি। oa নারায়ণের পালিকা মা। এ গাঁয়েরই বউ, অল্পবয়সে বিধবা হ'য়েছেন। OSA মায়ের সঙ্গে শুধু তো সই পাতানো নয়, দুজনের জন্য দুজনের প্রাণ দুটো যেন হাওয়া-দোলা পল্পমপাতায় | ফৌটা জল। এর জন্য ওর নিয়ত প্রাণ যায় যায়, গেল গেল। এ দুই রূপসীকে নিয়ে গাঁয়ে কথার অস্ত ছিল না। সেকথা ভাল মন্দ দুই-ই। সুন্দরী বলেই বুঝি ছিল লোকের অত. ফিস্‌্ফিস্‌ শুন্গুনানি। একজন আজ স্বামীহারা, আর একজন স্বামী ছেড়ে গিয়েছেন। বকুল মা'র = হয়নি। সইয়ের মরণের পর তার নাবালক অপোগগুদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেদিন বকুল AW সেজন্য কত কথা। গীয়ে ঘরে, পথে ঘাটে কান পাতা দায়। কিন্তু হার মানবার পাত্রী ছিলেন না বকুল মা। লোকে তাকে মহাদেব হালদার নামের সঙ্গে যুক্ত করে কুৎসা রটিয়েছে। রটাক, কিন্ত সইয়ের ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে উঠল তো তারই হাতে। আজও এ সংসারের হেঁসেল থেকে সুরু করে সবই তার ACS | তার উপরে, ভজুর দোকানের ঘুগ্‌নি চপ তিনিই তৈরী ক'রে দেন। আর আছেই বা কে, কাকে নিয়ে বা তার থাকা। ১৬



Leave a Comment