লিটল ম্যাগাজিনের বাছাই গল্প | Little Magaziner Bachhai Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সখী সম্বাদ উভয় বাড়িতে কোনো অমত ছিল না তাহারা অবাধে উভয় বাড়িতে যাইত। বাড়িতে বসিয়াই প্রেমালাপ করিত। afefara ছাড়া দৈহিক সংস্পর্শ ঘটিয়াছে। রতিক্রিয়া ঘটিয়া যাইত। সোহিনী রাজি হয় নাই। আশ্চর্য, বিবাহের পূর্বে os কোনোদিন শক্তি প্রয়োগ করিবার চেষ্টা করে নাই। করিলে শেষাবধি সোহিনী প্রতিরোধ করিতে পারিতো কিনা সন্দেহ | সেই দিন নিজেদের ভবিষ্যত লইয়া কথা উঠিয়াছিল। শুভ্র সেই কথাসৃত্রে এক সময় বলিয়াছিল - “MAA পেলে বাড়িতে যত কম পারবে দিও। বাকিটা নিজেদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে জমানো দরকার I কথাটা শুনিয়া সোহিনীর মনে একটি ঘটাধ্বনি হইয়াছিল। গুভ্র কি তাহার উপর নিজের ইচ্ছা চাপাইয়া দিতেছে? তাহার রোজগারের অর্থ সে কি করিবে তাহা সম্পৃরণ্ই তাহার ব্যাপার শুভ্র নাক গলাইবে 'কেন? পরক্ষণেই শুভ্র-র খুনসুটিতে ভুলিয়া গিয়া ভাবিয়া লইয়াছে-_ও সে রূপ চিত্তা হইতে বলে নাই। ছেলেরা অনেক ব্যাপারেই বোকা বোকা কথা বলিয়া ফেলে। ফুটপাথ ধরিয়া আপন মনে বাস স্টপের দিকে হাঁটিতে হাঁটিতে শুভ্র-র সহিত তাহার সম্পর্কের প্রসঙ্গ লইয়া স্মৃতিচারণা সোহিনীর একটা নিত্য অভ্যাসে দাঁড়াইয়া গিয়াছে। বিবাহের পর ছয় মাস কাটিতে না কাটিতে এই অভ্যাস শুরু হইয়াছে এখনও চলিতেছে | মধ্যবর্তীকালে কত ঘটনা, কত তাশাস্তি তিক্ততা পার করিয়া তিন মাস আগে মুক্তি ঘটিয়াছে। শুভ্র-র সহিত সোহিনীর বিবাহ বিচ্ছেদ আইনত হইয়া গিয়াছে। অথচ স্মৃতিচারণ যায় নাই, এমন কি শুভ্রও MBAS হয় নাই। সে এখনও সোহিনীর জীবনের উপর একটি কৃষ্ণবর্ণের সামাজিক ছায়া বিস্তার করিয়া রহিয়াছে। তাহাদের পরস্পরের মধ্যে বিন্দুমাত্র যোগসূত্র নাই তো কি হইয়াছে! আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী, প্রতিবেশী পরিবেষ্টিত একটি সামাজিক পরিমণ্ডল তো রহিয়াছে! এই পরিমণডলের প্রায় সকলেই ভাবভঙ্গি, চোখের দৃষ্টি ও নীরবতা দিয়া সোহিনীকে বুঝাইয়া দিতে চাহিতেছে-_ মেয়ে হইয়াছ এইটুকু সহিতে পারিলে না! এই পারিপার্শ্বিক চাপের মুখে পড়িয়া সোহিনী few করিয়াছে এবং এখনও সে চিস্তা বর্জন করে নাই যে, সে সম্পূর্ণ একক, স্বতন্ত্র ভাবে জীবনযাপন করিবে। নিজের মতো বাড়িভাড়া করিয়া থাকিবে। সমস্যা হইয়াছে সুবিধামতো বাসা পাওয়া। একা মেয়েকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পাড়ায় কেহ ঘর দিতে চাহেনা। যেসব অঞ্চলে পাওয়া যায় সেইখানে থাকার সামর্থ ও মানসিকতা সোহিনীর নাই | বিকল্প হইল হস্টেল। কিন্তু সেখানে CATE জীবনযাপন অসাধ্য। নানান জটিলতা আসিয়া ভিড় করিবে। সোহিনী বহু সময় আপন মনে চিৎকার করিয়া প্রশ্ন করে-_'“এই বিরাট শহরে মানুষ কেন আমাকে আমার মতো করে থাকতে দেবে না? আমার একান্ত আপন ব্যাপার নিয়ে তাদের নাক গলানো কেন? রাসেল স্ট্রিট অতিক্রম করিবার পর সোহিনী একটি ডাক শুনিতে পাইল--'এই সোহিনী, সোহিনী, দাঁড়া।' শব্দ অনুসরণ করিয়া সেহিনী ঘাড় ঘুরাইয়া দেখিল তাহার পশ্চাৎ হইতে অনু, অনুসূয়া তাহাকে ডাকিতেছে। অনুসূয়াকে দেখিয়া সোহিনীর মন ঝলকিত হইল। তাহার চোখেমুখে সেই ঝলকের আভা ফুটিয়া বাহির হইল। সে আবেগ তাড়িত হইয়া ফেলিয়া আসা পথ ধরিয়া কয়েক পা হাঁটিল। অনুসুয়া উচ্ছ্সিতভাবে ওর দুইটি হত উষ্ণভাবে ধরিয়া বলিল-_ “তোর খবর কি বল্‌? দিল্লি থেকে কবে এলি? থাকবি কদিন?” ১২



Leave a Comment