কালপেঁচার রচনাসংগ্রহ | Kalpanchar Rachanasangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কালপেঁচার নক্শা * যাওয়া-আসার ছন্দ ও ভঙ্গি স্বকীয়তায় উজ্জ্বল! নিছক যাত্রী হিসেবে তারা প্রতিভাবান । বাস, ট্রাম, রিক্শ, ছ্যাকরা বা মোটর,-_যখন যাতে চড়েই তারা! যাতায়াত করুন না কেন, তাদের প্রতিতা ও ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর তাতে থাকবেই | মনে ইয় যেন সেই বিশেষ বাহুনে, বাসে বা রিকশায় চড়বার জন্যেই তাদের জন্ম হয়েছিল এবং তারা যদি সেই যানবাহনে সর্বদাই সচল হয়ে না থাকতেন তাহলে শহরের যানবাহন ব্যবস্থাই অচল হয়ে ASS] এই সব যাত্রীদের হেজলিট ও রবার্ট লুই forse কি বলতেন জানি a, তবে আমার মতে নিঃনন্দেহে তাদের ট্র্যাতেলিং জিনিয়াস” a চলমান প্রতিভা” বলা ate) হেজলিট ন্টিভেনসনের নিঃসঙ্গ আত্মকেন্দ্রিক 'ভ্রমণতন্ত্ব' তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য AT | মনে করুন, আমাদের সকলের চঢিরপরিচিত সেই ছুর্দমনীয় নির্ভাক বামযাত্রীর কথা। কল্পনা করুন, কলকাতা শহরের প্রাইভেট ও স্টেট সব রকমের বাস চলছে, অথচ সেই নিত্যসঙ্গী বাসযাত্রীটি নেই! এক মুহূর্তে দেখবেন কলকাতার সমস্ত বাস চলাচল অচল হয়ে গেছে, যাত্রীদের মধ্যে কোন প্রাণের স্পন্দন নেই, ভীড়ের চাপে আপনার প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, দম বন্ধ হয়ে আমছে এবং বাসের ভেতরটা! একটা বিরাট গুদোমঘরে পরিণত হয়ে আপনার সমস্ত Tours অর্গলবদ্ধ করে রেখেছে । এই অবস্থায় আপনার মেজাজের টাইমবোন| কারণে-অকারণে অসহায় ওাক্টরের উপরেই ফেটে পড়তে চায়! ঠিক এমন সময় দেখলেন যে সেই নির্দিষ্ট স্ট্যাণু থেকে প্রতিদিনের সেই সহযাত্রীটি হাতে কয়েকটা খালি থলে ঝুলিয়ে 'বাধ্‌কে বাধ্‌কে” করতে করতে কেমনতাবে যেন উঠে পড়লেন। মুখে একগাল হাসি, বিরক্তির কোন চিহ্ন নেই কোথাও, পান চিবোতে চিবোতে, হামতে হাসতে, ঝুলতে ঝুলতে তিনি চললেন। “একটু এগিয়ে যান' বলতেও কেউ যখন এগুলেন না, তখন তিনি পাশের লোকটিকে বললেন, “তাহলে দাদা আপনার ঠ্যাংটা একটু তুলুন, আমি তল। দিয়ে গলে যাই ।” gee মিনিটের মধ্যেই দেখা গেল তিনি এর exe সরিয়ে, ওব্‌ ঘাড়টা ঘুরিয়ে, বগলের তল দিয়ে, কোথা দিয়ে কেমন করে বাইরের ফুটবোর্ড থেকে একেবারে বাসের মধ্যিখানে এসে টাড়িয়েছেন এবং



Leave a Comment