দাগবসন্তী খেলা | Dagbasanti Khela

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দাগবসন্ভী খেলা ১৯ অভাবে জেরবার হয়তো। GAA জন্য দুঃখ, তাড়িখেকো মাতাল স্বামীটার জন্য দুঃখ। কতটুকুন ঘরটাতে কচির্কাচা মিলিয়ে এতগুলো মানুষের থাকা। তায় দোসর ওই পঙ্গু বুড়ি। আবার গলা কাঁপছে ঘরে, ও বউ, কেমন যেন বাস আসতেছে না? চেনা চেনা, পুরোনো অনেক! কে এসেচে, বল না, ও বউ? ভ্যানিটি ব্যাগের মুখ খুলে মিষ্টির বাক্সখানা বার করল পৃথা। বুদ্ধি করে খানদুয়েক সস্তা দামের শাড়ি আনলে হত। কিংবা নিজেরই কোনো পুরোনো ছেঁড়া। পায়ের কাছে দীড়িয়ে থাকা অবাকচোখ বাচ্চাগুলোরও নেই কিছুই । ভাবতে ভাবতে এগোলো আলতাবউ-এর কাছে, চেনা চেনা লাগছে নাকি? সত্যি? দ্যাখো তো ভালো করে। ভাঙা মাজা চেপে ধরে টান টান আলতাবউ। কাদাগোলা ছানি চোখের পাতা দুটো পিটির পিটির, কে বলোতো? ঠিক ঠিক চিনতি পারছিনি। —CR যে গো, একডালিয়ার বাগচী বাড়ি। ভুবনমোহন বাগচী নয়নমোহন বাগচী... বুড়ি তবু উথালপাথাল কথা হাতড়ায়, একডালিয়া? সে আবার কাদের গেরাম? কোন্‌ পথ দে যেতি হয়? প্রাণগোপালের কিশোরী মেয়ে খিলখিল হেসে উঠল | পৃথা বুড়ির শরীর Bey, গ্রাম নয় গো। একডালিয়া সেই কলকাতায়। বালিগঞ্জে নামলে পরে এগিয়ে গিয়ে ডানহাত মোড়ো, তারপর আবার ডান, আবার ডান... বুড়ির গলা প্যা প্যা বাজে এবার, অনেকটা ঠিক হারমোনিয়াম রিডের মতো, Vl Cal Bi, পড়েচে গো, মনে পড়েচে | বউমাদের শউড় ঘর তুলল সেবার, সেই নড়াই-এর কালে। সব ত্যাখন পেইলে যাচ্চে কলকেতা ছেড়ে... আরও ঝুঁকেছে পৃথা। Ba মন ঝৌকা শরীরে টলমল, চিনেছ তবে? আলতাবউ শিশুর মতো কেঁদে ফেলল। কাঁদতে কাঁদতে হাত বোলাল পৃথার মুখে | শক্ত বরফ কাঠি আঙুল, পুরোনো বাসি মড়ার যেমন। কপাল থাবড়ায়, চুল থাবড়ায়, গালে হাত, চোখে এসে হাত টিপটিপ। আস্তে আস্তে ঠান্ডা হাতে প্রাণ ফিরছে, ভাঙা মুখে আলোর আভাস,-_চিনেছি গো চিনেছি। এ চোখ কি আর ভোলা যায় গো? তুমি আমার ছোটবউদিদি, নয়নদাদার Galt বউ, তাই নয়? একইরকম আছ ris! বদলাওনি!



Leave a Comment