রাজকীয় প্রেমকথা | Rajakiya Premkatha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিশেষ করে বাদশাহের নজর যদি পড়ে কোন নর্তকী বা গায়িকার প্রতি। যথানিয়মে ওরছায় খবরটি পৌছল। চমকে উঠলেন ইন্দ্রজিৎ সিংহ । তার প্রিয়তমাকে কামনা করছেন বাদশাহ । সুহৃদ কেশবদাসকে বললেন, “AH, এই বিপদের মধ্যে তোমার পরামশই সবচেয়ে মৃূল্যবান। প্রবীণ রায় যে শুধু নর্তকী নয়, সে কথা তোমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। তাকে ছাড়া আমি বাঁচব at’ জনরব কেশবদাসও শুনেছিলেন কিন্তু রাজাকে কীভাবে রক্ষা করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। প্রবীণ রায় যদি রানি হত আর তাকে বাদশাহ কামনা করতেন তাহলে কর্তব্য ঠিক করা কঠিন হত না। সে হত জাতির অপমান। কাঞ্চনমূল্যে যাদের কেনা যায় তাদের জন্য সকলের স্বার্থ উপেক্ষা করে বাদশাহের ত্রেগধের কারণ হওয়া কি উচিত? আবার ইন্দ্রজিৎ যে কিছুতেই প্রবীণকে বাদশাহের হাতে তুলে দেবেন না তাও তার অজানা নয়। দিলে তিনিই কি দেখবেন বন্ধুর মুখ? তিনি শুধু বললেন, “ঘটনাটি এখনও জনশ্রুতির আকারেই রয়েছে। আমরাও বরং মহেশদাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই ofa’ মহেশদাস হচ্ছেন আকবরের পরম সুহৃদ তথা মন্ত্রী বীরবল। তিনি বুন্দেলখণ্ডেরই ABA | সম্প্রতি আকবর তাকে উপহার দিয়েছেন কালিঞ্জর দুর্গ। সেও SAA কাছেই | তিনি নিশ্চয় সাহায্য করতে পারেন। বীরবল সব শুনলেন মন দিয়ে। আকবরের একশগুঁয়ে মনোভাবের কথা তিনি জানেন। রূপের চেয়েও গুণ তাকে টানে। প্রবীণ রায়ের কবিখ্যাতি, নৃত্যগীত-কুশলতা তাঁকে যদি টেনে থাকে তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। সত্যিই বিপদ। কেশবদাসকে বললেন, 'আমি আপনাদের আগেই খবর পাঠাব। আপাতত তার ওরছ! আক্রমণের সম্ভাবনা নেই । আমিও যথাসাধ্য সাহায্য করব। কিন্তু প্রবীণ রায়ের খ্যাতির কারণ কি?” কেশবদাস বললেন, প্রবীণ রায় অসামান্য শিল্পী তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, সে কবি। সত্যিকারের কবি । বীরবর বললেন, “তাহলে চিন্তা নেই। তিনি যদি প্রকৃত কবি হন তাহলে নিজেকে রক্ষা করবার উপায় তিনি নিজেই খুঁজে নেবেন। আপনাদের fal করতে হবে না। বরং আপনারা ওরছার কথা চিন্তা করুন। ফিরে এলেন কেশবদাস। রাজাকে জানালেন সব কথা। রাজার চিত্তান্বিত মুখের রেখা একটুও বদলায় না। শূন্য দৃষ্টিতে বারে বারে তাকান প্রায় শেষ হয়ে আসা নতুন ভবনটির দিকে। প্রবীণ রায় রাজি হননি রঙমহলের নর্তকী হিসাবে পরিচিত হতে, তাই রঙ্গ রায়, নবরঙ্গ রায়দের সঙ্গে না থেকে রয়ে গিয়েছেন পুরনো ব্যাসপুরায়। যেদিন তিনি রানির পদটিও অস্বীকার করলেন, সেদিন থেকেই ইন্দ্রজিৎ নির্মাণ শুরু করেছেন নতুন ভবনটি, প্রবীণের জন্যই বিশেষভাবে গড়ছেন তিনি। তার সংলগ্ন আনন্দমহল। প্রবীণ ঠিকই করেছেন। রঙমহল তার উপযুক্ত নয়। আনন্দমহলে তিনি শোনাবেন তার কবিতা। তিনি রাজার আনন্দসঙ্গিনী। সেই মহলে কি পা রাখতে পারবেন প্রবীণ রায়? ১৬



Leave a Comment