শ্রীরামকৃষ্ণ সাহিত্যধারা ও অন্যান্য প্রবন্ধ [সংস্করণ-১] | Sri Ramkrishna Sahityadhara O Anyanya Prabandha [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
লাগল। এবং অবশেষে কাকুতিমিনতি করে রাজামশাইকে জানালে যে তার সংসারে এখন ভারী কষ্ট হচ্ছে, সে যে ক? টাকা পায়, তাতে' তার চলে না। রাজা তার মাইনে বাড়িয়ে দিলেন, কিন্তু নাপিতের যে দশা সেই দশ|। সে এখন লোকের কাছে মেগে-পেতে খায় এবং যা কিছু টাকা পায় তা এ ঘড়ার ভিতর পোরে । পরে রাজা একদিন তার Qi দেখে বললেন, “Spica, SALA তুই কম মাইনে পেতিস তাতে তো বেশ চলতে, আর এখন তুই দ্বিগুণ পাচ্ছিস, তবু তোর চলে না কেন রে? তুই কি সাত ঘড়া মোহর এনেছিস নাকি ?” নাপিত থতমত খেয়ে বললে, “Ales, আপনাকে কে বললে ? রাজা বললেন, “আরে সে যে যকের ধন, সেই যক্ষটা আমার কাছে এসে বলেছিল, সাত AOI ধন নেবে ? আমি বললাম, জমার টাক না খরচের টাকা ? SRT অমনিই পালিয়ে গেল, আর কোনো কথা কইলো না। ও টাকা কি নিতে আছে, ও টাকা খরচ করবার জো নেই, ও কেবলই জমার টাকা, ভাল চাস তো ফিরিয়ে দিয়ে আয়” নাপিত এ কথা শুনে তাড়াতাড়ি আগের সেই জায়গায় গিয়ে বললে, “তোমার টাকা তুমি নিয়ে যাও, আমার কাজ coe? যক্ষ বলল, “আচ্ছা'। বাড়িতে এসে নাপিত দেখে ঘড়াগুলো কে নিয়ে গেছে। লাভের মধ্যে সেই সঙ্গে সে এতকাল ধরে সেই খালি ঘড়াটার ভিতর যা পুরেছিল, সেগুলিও নিয়ে গেছে | গল্প শেষ করে ঠাকুর মন্তব্য করেছেন, “ধর্মরাজ্যেও এরূপ, জমা-খরচ বোধ al থাকলে শেষে সর্বস্ব হারাতে হয় ঠিক কি উপলক্ষে এবং কাকে ঠাকুর এই গল্প বলেছিলেন তা জানার উপায় নেই। তবু আমাদের SATA যক্ষের oS Wat যখন চরম সর্বনাশের মোহানায় নিয়ে আসে তখনই পরিপূর্ণ অনাসক্তির মূর্তবিগ্রহ শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশের যাথার্থ্য হৃদয়ঙ্গম হয়। “পরমহংস রামকৃষ্ণের উক্তি, 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত* ও 'আশ্ীরামকৃষ্ণদেবের উপদেশ কে বাংলা- সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলা চলে । ভাব ও ভাষার সারল্য ও অনায়াস লাবণ্য পাঠককে মুগ্ধ Bea | তবে বাংলাসাহিত্যে ্রীরামকৃষ্ণদেবের প্রভাব শুধুমাত্র তার উপদেশ ও বাণী সঙ্কলনের সঙ্গে শেষ হয়নি, তাঁর ১৬



Leave a Comment