সময় স্বদেশ মানুষত্ত্ব | Samay Swadesh Manushyatwa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভয়কম্পিত বেদনা, বড়োদের মধ্যে ফিমফাস কথাবার্তা । পরদিন কার মুখ থেকে যেন এই মন্তব্যটি শুনে সচকিত হয়ে উঠলাম-_নিজের Gy না, বাপমায়ের SI না, দেশের জন্য প্রাণ দিল ! কথাটা আমার Tare es গুঞ্জরিত হলো কিছুদিন। আর, তখন থেকেই সম্ভবত, অজ্ঞাতসারে, তুর্গেনিভের পূর্ব-উদ্ধৃত প্রতিমাটির মত একটি ঝূপবর্ণময় চিত্র আমার মানসপটে রচিত হতে আরম্ভ করেছিল | মনের বিচরণ ক্ষেত্র কিন্তু তেমনকিছু প্রসারিত হয় নি। যতদিন স্কুলে ছিলাম ততদিন না। প্রবেশিকা পাশের পর আমার পারিবারিক এবং পারিপাথ্িবিক কূপমণ্ভুকতা নিয়ে কলকাতার কলেজে পড়তে আসার পর তৎক্ষণাৎ অনুভব করলাম, আমার অনুভব-বোধ-বুদ্ধি-অধ্যয়ন এবং সংবেদনার জগৎ কত ক্ষুদ্র, কত সীমিত । থাকতাম ক্যানিং হোস্টেলে, বর্তমানে গিরীশচন্দ্র ছাত্রাবাস। সহপাঠী এবং সহবাসীদের অধিকাংশই ছিল এমনসব পরিবারের সম্ভান যারা আধুনিক তথা পাশ্চাত্য শিক্ষা- সংস্কৃতির দাক্ষিণ্য হৃদয়ভরে গ্রহণ করেছে। এই ছেলেদের চলনে বলনে ব্যবহারিক বোধে ছিল এমন একটা প্রথরতার দীপ্তি যা আমাকে মুগ্ধ SIS | তাদের মুখে শুনতাম এমন সব নাম যা আমার কৈশোরের স্বল্প পরিসর ভুবনে কখনও উচ্চারিত হয় নি। মানবিক অভিব্যক্তির নানান ক্ষেত্র থেকে আহরিত সেসব নাম-মাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, নৃত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, সিনেমা । একটা হীনমন্যতার বোধ আমাকে আস্ছন্ন করে। মনের এই HESS অবস্থায় একদিন বিকেলে কলেজ স্ট্রীটের চক্রুবর্তী- চ্যাটার্জার বই-এর দোকানে শো-কেসে রক্ষিত একটি বই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম বিশ্ময়বিমুগ্ধ দৃষ্টি নিয়ে। . 'আই উইল নট coe’ নির্বোধ ইংরেজি বানানে লেখকের নামটি অতিশয় বিদ্ঘুটেভাবে উচ্চারণ করেছিলাম--জনৈক সহপাঠী পরে আমাকে সংশোধন করে জানিয়েছিলেন, লেখকের নাম রোম রোল]। বইটি সেসময় পড়তে পারি নি, পড়েছি পরে। কিন্তু এ মুহূর্ত থেকেই ১৭



Leave a Comment