চিরন্তন নারী | Chirantan Nari

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পূজা করি রাখিবে মাথায় সেও আমি নই, অবহেলা করি পুষিয়া রাখিবে পিছে, সেও আমি নাই। যদি পার্কে রাখ ঘোরে সংকটের পথে, দুরূহ চিন্তায় যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর কঠিন ব্রতের তব সহায় হইতে, যদি সুখে দুঃখে মোরে কর সহচরী, আমার পাইবে তব পরিচয়। ত্রিশ বছর বয়সে লেখা এ নাটকে রবীন্দ্রনাথ চিত্রাঙ্গদার চরিত্রচিত্রণের মধ্য দিয়ে নারী সম্পর্কিত চিন্তার যে নক্ষত্ররূপ প্রকাশ করেছিলেন পরবর্তী জীবনব্যাপী সাহিত্যকর্মে যেন ঘটেছে তারই সম্প্রসারণ। চোখের বালি বাংলা উপমন্যাসকে যেন আধুনিকতায় প্রোথিত করেছিল বিনোদিনীর wet বিদ্ধ বিশ্লেষণে সুচরিতা, দামিনী, বিমলা, কুমুতে ঘটেছে তারই বৈচিত্র্যময় বিকাশ। নিরুপমার অসহায়হীন আত্মসমর্পণ থেকে মৃণালের তেজোদন্ত সঞ্চরণ, মহামায়ার বিদ্যুৎগর্ভ প্রতিবাদ থেকে সোহিনীর Goss প্রচার যেন আমাদের চেনা অচেনা সমাজের সমারোহপূর্ণ এক আশ্চর্য চলচ্চিত্র উত্তরৈবিক বাংলা সাহিত্যে বিশেষ করে ছোটগল্পে, তার অসামন্য শৈল্পিক প্রতিফলন তাকে বলিষ্ঠ ও প্রীতিময় আন্তর্জাতিকায় wa করে Oca! সাত আগেই বলা হয়েছে এ সংকলনে গ্রথিত হয়েছে যাটটি গল্প। সংকলন শুরু হয়েছে সঙ্গতভাবেই রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প দিয়ে। তারপর লেখকদের কালত্রম মেনে পরিবেশিত হয়েছে কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুজয় রায় পর্যন্ত প্রবীণনবীন, গল্পকারদের প্রতিনিধিত্ব মূলক লেখা। নির্বাচনে লক্ষ্য রাখা হয়েছে বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যময় নারীপ্রকৃতির দিকে। মাধুর্য ও Show, প্রেম ও হিংসায়, অনুরাগ ও ঈর্ষার, লোভে ও প্রতিহিংসায়, ভালবাসা ও ছলনায় অভিমানে ও বিরূপতায়, are আসক্তি ও fact নারী চরিত্রের যত ধরণের প্রকাশ হতে পারে, তারই একটি সংকলন এ বই। অবশ্য একথাও সত্য যে মাত্র যাটটি গল্পের সীমাবদ্ধতার নারী প্রকৃতির MESS ধরা অসম্ভব। কেননা কবি নিজেই বলেছেন, “অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা” গত একশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা গল্পের বিবর্তন একটি সরলরেখা অনুসরণ করেনি স্বাভাবিক কারণেই ৷ সমাজ প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতির বাঁক বদল বাঙালি মননের পরতে পরতে হলকর্ষণ করে গেছে, তারই অভিঘাতে লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিপ্রায় তরঙ্গিত হয়েছে। “মহামায়া” লেখা হয়েছিল ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে (ফাল্গুন ১২৯৯)। সংকলনের শেষ গল্প সুজয় রায়ের শরীর জামিন গল্প বিশ শতকের নয়ের দশকে CHAN সে হিসেব যে একশ বছরের বেশি সময়সীমাকে যথাসম্ভব দুইপ্রান্তে মেলানোর চেষ্টা হয়েছে। উনিশ শতকের শেষ দশক থেকে বিশ শতকের শেষ দশক [AVS সময়ে ঘটেছে নানাধরনের পালা বদল। ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, ১৯০৬-এ মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠা ১৯১২ cw রাজধানী কলকাতা থেকে HCG আপসারণ* ১৯১৪-১৮ র প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৭-র cifeae বিপ্লব, ১৯১৫-র পর থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে গামন্ধীজির অলৌকিক উত্থান, খিলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতি Gal ঘটনা বাংলা সমাজনীতি, অর্থনীতি ও রাজনীতিকে ওলটপালট করে দিল। এর পাশাপাশি ছিল ভারতীয় কমুনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা ও সশস্ত্র সংগ্রামীদের বিপ্লবী প্রয়াস। তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫), ভারত ছাড় আন্দোলন, মন্বস্তর, দাঙ্গা ও দেশভাগ বাঙালি জীবনের কাঠামো ও UA সত্তায় গুণগত পরিবর্তন নিয়ে এল। ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা প্রাপ্ত ও ১৯৫০-এ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির ঘরকে কতটা পূর্ণতা ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ঘনিয়ে উঠল। তারপর গত অর্ধশতক



Leave a Comment