For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১০ পরিব্রাজক মুখ বন্ধ হতে লাগলো। ১৫৩৭ BH এ মুখ এত বুজে এসেছে যে,
পোর্তুগিজেরা আপনাদের জাহাজ আসবার জন্যে কতকদূর নিচে গিয়ে গঙ্গার
উপর স্থান নিল। উহাই পরে বিখ্যাত হুগলি-নগর। swt শতাব্দীর প্রারন্ভ
হতেই স্বদেশী বিদেশী সওদাগরেরা গঙ্গায় চড়া পড়বার ভয়ে ব্যাকুল; কিন্তু
হলে কি হবে; মানুষের বিদ্যাবুদ্ধি আজও বড় একটা কিছু করে উঠতে.
পারেনি। মা গঙ্গা ক্রমশই বুজে আসছেন। ১৬৬৬ খ্রীষ্টাব্দে এক ফরাসী পাদ্রী
লিখেছেন, সূতির কাছে ভাগীরথী-মুখ সে সময়ে বুজে গিয়েছিল। অন্ধকূপের
হলওয়েল-_ মুর্শিদাবাদ যাবার রাস্তায় শাস্তিপুরে জল ছিল না বলে, ছোট
নৌকা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৭৯৭ খ্রীষ্টাব্দে কাণ্তেন কোলব্তুরক সাহেব
লিখছেন যে, Sree Sra আর জলাঙ্গী* নদীতে নৌকা চলে না।
১৮২২ থেকে ১৮৮৪ পর্যন্ত গরমিকালে ভাগীরথীতে নৌকার গমাগম TH
ছিল। ইহার মধ্যে ২৪ বৎসর দুই বা তিন ফিট জল ছিল। ১৭ শতাব্দীতে
ওলন্দাজেরা হুগলির ১ মাইল নিচে four বাণিজ্যস্থান করলে; ফরাসীরা
আরও পরে এসে তার আরও নিচে চন্দননগর স্থাপন করলে। জার্মান
অস্টেগু কোম্পানি ১৭২৩ ব্ররীষ্টাব্দে চন্দননগরের পাচ মাইল নিচে অপর
পারে বাকীপুর নামক জায়গায় আড়ত খুললে। ১৬১৬ BBs
দিনেমারেরা চন্দননগর হতে আট মাইল দূরে Marya ows করলে |
তারপর ইংরেজরা কলকেতা বসালেন আরও নিচে। পূর্বোক্ত সমস্ত
জায়গায়ই আর জাহাজ যেতে পারে AM ie SAPS এখনও খোলা, তবে
'পরেই বা কি হয়' এই ভাবনা সকলের । , তবে শাস্তিপুরের কাছাকাছি পর্যন্ত গঙ্গায় যে গরমিকালেও এত জল
থাকে তার এক বিচিত্র কারণ আছে। উপরের ধারা বন্ধপ্রায় হলেও
রাশীকৃত জল মাটির মধ্য দিয়ে চুঁইয়ে গঙ্গায় এসে পড়ে। গঙ্গার খাদ
এখনও পারের জমি হতে, অনেক fp যদি এঁ খাদ ক্রমে মাটি বসে উঁচু
হয়ে উঠে, তাহলেই মুশকিল। আর এক ভয়ের কিংবদন্তি আছে;
কলকেতার কাছেও মা গঙ্গা ভূমিকম্পে বা অন্য কারণে মধ্যে মধ্যে এমন
শুকিয়ে গেছেন যে, মানুষে হেঁটে পার হয়েছে। ১৭৭০ স্বীষ্টাব্দে নাকি এঁ ১ জলাঙ্গী নদী aaa হইতে কিছু দূরে ভাগীরঘধীযর সহিত মিলিত হইয়াছে। এই সঙ্গমের
পর হইতেই তাগীরথীর নাম হুগলি হইয়াছে