বাঙলা গানের আঙিনায় | Bangla Ganer Anginay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাঙলা গানের আঙিনায় vv c তোলা।...কবিতা মনের এক স্তরের, এক ধরনের ভাব সমাবেশের ভাষা, সুর অন্য স্তরের। প্রকাশ করবার প্রবৃত্তির ভিত্তি ছাড়া এ দুই ভাষার কোন প্রাথমিক সম্পর্ক নেই। ....এ দুটি সম্পূর্ণ বিরোধী, অথচ একই শুচিবাইগ্রস্ত মনোভাবপ্রসূত মতের মাঝামাঝি আর একটি মত।...সুর ও কবিতা SACHA মতন অঙ্গাঙ্গীভাবেই মিলিত রয়েছে, সেখানে এমন একটি বিশেষ রস সৃষ্টি ও সঞ্চারিত হচ্ছে, যেটি না-কেবল সুরের, না-কেবল কবিতার, অথচ দুইয়ের মিলনে একটি অতিরিক্ত ফল। তার ভিন্ন নাম দেওয়াই ভালো-- সঙ্গীত” সঙ্গীতে অতএব সুর এবং কথা উভয়েই উভয়ের পরিপূরক। বিশেষ বিশেষ সুরের প্রয়োগ বিশেষ বিশেষ বাণীর যেমন অপেক্ষা করে, বিশেষ বিশেষ বাণীও তেমনই বিশেষ বিশেষ সুরের জন্য অপেক্ষমানা হয়ে থাকে। অবশ্য সঙ্গীতের বাণীকে হতে হবে বস্তু অভিক্রমী। বাণী যদি নিছক TAY হয় তবে FRIST সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তার কোনও কদর নেই। বাণী যত PH, গভীর আবেগসম্পন্ন, ব্যঞ্জনাধর্মী, মধুর হবে, সঙ্গীতে তত তার সমাদর। সেই কারণে যে শব্দ অধিকতর PR |e গভীরার্থবোধক সেই শব্দ তত বেশি গীতের সহায়ক, সুর রচনার উপযোগী। কথা ও সুরকে আশ্রয় করে থাকে গীতিকবিতা। কিন্তু যেখানে শুধুই কথা অথাৎ কেবল কবিতা সেখানেও আমরা তার YD ভাবটিকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি; আবার যে্খোনে কথা ও সুর উভয়েই প্রধান সেখানেও কথার অন্তরালে যে YS ব্যঞ্জনা বা ভাব তাই-ই প্রধান হয়ে ওঠে। বস্তুত ভাবকে পরিস্ফুটনের জন্যই বাণীর প্রয়োজন এবং বাণীকে হৃদয়বেদ্য করে তুলতে বাণীর গায়ে সুরের অবলেপন। রবীন্দ্রনাথের অনুসরণে বলতে হয় “আমরা যখন একটি কবিতা পড়ি তখন তাহাকে শুদ্ধমাত্র কথার সমষ্টিরূপে দেখি না-কথার সহিত ভাবের সম্বন্ধ বিচার করি। ভাবই মুখ্য লক্ষ্য। কথা ভাবের আশ্রয়স্বরূপ। আমরা সঙ্গীতকেও সেইরূপেই দেখিতে চাই। সঙ্গীত সুরের রাগরাগিণী নহে, সঙ্গীত ভাবের রাগরাগিণী। আমাদের কথা এই যে, কবিতা যেমন ভাবের ভাষা সঙ্গীতও তেমনি ভাবের ভাষা।” গানের বাণীর মধ্য দিয়ে গায়ক বা রচয়িতা কী বলতে চান?! প্রায় সমস্ত গানেরই বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম, প্রকৃতি, ঈশ্বর, সৌন্দর্য, মঙ্গল ও সত্য। কোথাও কোথাও সামাজিক নানা কার্যকলাপও গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়, তবে সেগুলি যথার্থ সঙ্গীত বলতে যা বোঝায় তা নিশ্চয়ই নয়। প্রেম--মানবপ্রেমও যেমন হতে পারে, ঈশ্বরপ্রেমও তেমনই হতে পারে। প্রেমের সঙ্গেই ওতপ্রোত হয়ে জড়িয়ে থাকে সৌন্দর্য ও সত্য এবং সেই অর্থে মঙ্গ লও। তাই প্রেমমূলক সঙ্গীতের ভাষা মধুর, পেলব, সৌন্দর্যব্যঞ্জক, আত্মনিবেদনমূলক। গায়ক এবং AMSA মধ্যে প্রেমবোধ না জন্মালে যথার্থ প্রেমসঙ্গীত গাওয়া অথবা রচনা করাও সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে, এই প্রেমবোধ নিছক জাগতিক হলে তার মাহাত্ম্য SPT থাকে না। জাগতিক মানব-প্রেমকে বিশ্বপ্রেমের সঙ্গে যুক্ত করে দেখলেই তার সীমাহীন সৌন্দর্য অনুভব আর তারই মাধ্যমে অসীম ও GCA নাগাল পাওয়া সম্ভব-_



Leave a Comment