সচিত্র মাসিক বসুমতী [বর্ষ-২৫] [খণ্ড-১] | Sachitra Masik Basumati [Yr. 25] [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২৫শ বর্--বৈশাখ, ১৩৫৩ | নেই। সুতরাং বিস্তারিত পরিচয় দিলাম না। সেখানে গিয়ে ল্যাংড়া সাহেবেব খোঁজ করলে আশ! করি তাঁকে চাক্ষুষ দেখতে পাবেন। তবে যে উদ্দেশ্যে এমেছেন তা সিদ্ধ হবে কি না বলতে পাবি না।* SRT বাবু কথাগুলো শেষ করে আর দীড়ালেন না। আমার সমস্ত দায়িত্ব যেন ত্যাগ করার ভঙ্গিতে গলি দিয়ে বেরিয়ে বাস্তাব অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। জেদ কবে এত দুর এলেও এখন আব সামনে অগ্রসর ara বিশেষ উৎসাহ বোধ করছিলাম al) যে গলিটায় এসে প্বাড়িয়েছি সেটা মানুষের হাটবার পথ, না কাঁচা AMAA একট! পাড় বলা শক্ত। নদ্দমার Sten আগেই পাচ্ছিলাম। অন্ধকারে না জেনে পা বাড়াতে গিয়ে তার গভীবতাটাও আর একটু হ'লে মাপবার সৌভাগ্য হয়ে যাচ্ছিল । দু'-এক মুহূর্ত দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে দাড়িয়ে মরিয়া হয়েই সামনে BIA say) আস্তানাটা ভুল করবার সত্যিই উপায় নেই । কাছে পৌঁছোতে না পৌঁছোতেই নর্দমার van ছাপিয়ে স্লপরিচিত তীব্র গন্ধে, তাব প্রথম অভ্যর্থনা পেলাম। দেই সঙ্গে Ae কণ্ঠের জড়িত অর্থহীন কোলাহল | ঠিক ভাটিখান! নয়। এই অঞ্চলের একেবাবে সর্বনিম্ন শ্রেণীর বলি-মজুর প্রভৃতিণ 'একটি স্বরাপান-কেন্দ্র। রাস্তার পাশেই একটা ভাঙা কাঠের গেট । সেটি পাব হলেই দেখ যায় উচু দেয়াল দিয়ে a একটি বেশ বিস্তৃত মুক্ত স্থানে মাটির eta বহু ছোট ছোট দল yay কেন্দ্র কনে বসে আছে । পিছন দিকে একটি কেরোসিনেব বাতি একটি টিনেব ছাউনি দেওয়া aaa বারান্দার মাঝে টাডান। মেই wy আলোব সুবিধে এই যে, পবল্পৰকে চেনবার কোনো প্রয়োজন হয় না। এত দূর যখন আসতে পেবেছি তখন আর না অগ্রসর হওয়ার কোনো মানে হয় না। মাটির ওপর যারা বসেছিল সম্ভপণে তাদের পাশ কাটিয়ে বারান্দায় গিয়ে উঠলাম। সামনে বেঞ্চের ওপৰ যে দু'টি লোক বসেছিল আমার দিকে বেশ একটু feafe ভরেই সন্িগ্ধ দৃষ্টিতে তাবা তাকালে । আমাব মত afanta তাদের ঠিক মন:পৃত নয়। তাদের বিরক্তি গ্রাহ্য না করেই জিজ্ঞাস! করলাম, “রায় সাহেব শানে আছেন 2” ভ্রকুটি ভরে আমার দিকে তাকিয়ে এক জন বললে, “সাহেব টাহেব হেথাকে কুখা থেকে আসবে। দেখছ নাই-কুলি-কামিনদের জায়গা ach” তর্ক না করে দু'টো টাকা টেবিলের ওপর ফেলে দিলাম, “ল্যাংড়া মায়েবকে আমার বিশেষ দরকার |” ই জনে একবার মুখ চাওয়চাওয়ি কবে নেবার পর দ্বিতীয় লোকটি উঠে দাড়িয়ে বললে, “তাই বল বটে, ল্যাংড়া সাহেবকে তালাস করতে আসেছ। রায় সাহেব বললে, কি না তাই চিনতে লারলাম। ঘুরে ওই ধারের Baty যাও না কেনে, সাহেব cay হই পড়ি আছে 1° পেছন দিকের বারান্দাতেই ঘুরে গেলাম। এদিকে একেবারে আলোর কোন বালাই নয়। প্রথমটা চোখে কিছুই দেখতে পেলাম Wl ভার পর চোখে অন্ধকার একটু সময়ে যাবার পব দেখলাম বেশ HAY q GOT SECSEOTIOOSIBOBOLE SEE উঠ উ রাজা ররর জারা BAPE DERE রাগীগিটউরর্ররীতা উর রর এভভরএ রর ওর ররর উঠ জারী উতীতাজা উা/ঠ উতীতাতাতারা রাজী কীতরীরীররীর রউীররএরীরীররীযীরজরররএ এট ররর গর সুবিশাল একটি ছায়ামূত্তি, বারান্দার রেলিঙের ওপর ভর দিয়ে পাডিয়ে আছে। আমার পায়ের ace মুখ ফিরিয়ে অত্যন্ত THA কণে সে বললে, “কে ওখানে ?* বললাম, “আমি রায় সাহেবকে খুজতে এসেছি ।* লোকটি এবার ফিরে trots, “রায় সাহেব! রায় সাহেবকে খৃজতে এখানে আসার ত নিয়ম নেই। কে আপনি !* নামট! বলে বললাম, “নাম শুধু বললে চিনতে বোধ হয় পারবেন না!" CHF একটু চুপ কবে থেকে বললেন, "আপনার সঙ্গে পরিচয় হবার সৌভাগ্য কখনও হয়েছে বলে ত' মনে হচ্ছে না। কি ঢান আপনি ?* “আপনিই Stara রায় সাহেব ?* ভদ্রলোক একটু চুপ করে রইলেন তার a হঠাৎ সে উঠে বললেন, 'না বায় সাহেব আমি নই ল্যাংড়া মায়েবও নয়। এখন আমি পতঞ্জলি রায়! আর কিছু প্রয়োজন আছে 1" সত্যিই বিশ্ময়ে স্তব্ধ হয়ে জবাব দিতে পারলাম না কিছুক্ষণ | প্রথম বিশ্ময়টা কাটবার পর নিজেকে একটু নির্বোধই মনে হল । পতঞ্জলি ary নামটা অসাধারণ Ace নেই, আমার মনের মধ্যে সে নামটা FCG একট! সদাজাগ্রত কৌতূহল আছে একথাও সত্য, কিন্তু তাই বলে প্রথম সে নামটা উচ্চারিত হতে শুনেই যে-কোন সাধারণ Ge ala fara se কন্ট্রাক়্বকে, বাংলা সাহিত্যে সাড়া তোলবাব উপযুক্ত রহস্তময় yey ভেবে নেওয়া একটু বাড়াবাড়ি ae fe | Bae রায় আমায় চুপ করে থাকতে দেখে একটু অঁধৈর্ধ্যের মঙ্গে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, 'কই কি চান আপনি বললেন না ?* গলার স্বরে সামান্য একটু জড়তা আছে সত্য fey কয়েক দিন ব্যাপী পানোৎসবের লক্ষণ তাকে বলা চলে না। বললাম, *আমার রায় সাহেবের সঙ্গেই দরকার ছিল !*-_ “সে waste নিয়ে SG এখানে আসবার কথা নয়। রায় সাহেবের সঙ্গে ব্যবসা-সংক্রান্ত আলাপ করবার arate আস্তানা আছে ।* পতটঞ্জলি রায়ের ক এবার বেশ রুক্ষ “মে আস্তানায় তিন দিন অপেক্ষা! কবে তার দেখা না| পেলে বাধ্য ইয়েই এখানে হানা দিতে হয় ।* কথাটা খোঁচা দেবার জন্যেই বলেছিলাম। few oneal ata এবার আর উষ্ণ হয়ে উঠলেন ন|। থানিক চুপ করে থেকে বললেন, "আপনার দরকার কি খুব জরুরী 1" “তা নাহলে তিন দিন ধরণ! দিয়ে শেষ “ape এখানে পর্যন্ত ধাওয়া করি।* পতঞ্জলি রায় এবার একটু হেসে উঠলেন। তার পর atts হাতটা হঠাৎ ধরে ফেলে বারান্দার অপব কোণেন্‌ একটি চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে নিজেও আরেকটিতে বসলেন | চোখ অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার দরুণ অন্ধকাবটা এখন অনেক ফিকে মনে হচ্ছিল। দেখলাম, ছোট একটি নিচু টেবিলে Sta পালনীয় সাজান 1 ata মেখান থেকে তুলে নিয়ে এক চুমুকেই সেটি নিঃশেষ করে তিনি বললেন, “জায়গাটা আপনার কাছে অত্যস্ত ঘৃণ্য মনে হচ্ছে, না? প্রায় নরককুণ্ডের সামিল 2”



Leave a Comment