আজকের গল্প | Ajker Galpa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আজকের গল্প অনেকদিন আর মাধববাবুদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই | তাদের কথা প্রায় ভুলে গেছি। বেলঘরিয়ায় আমার বন্ধুর দাদার বিয়ে । আমাদের চার-পাঁচজন বন্ধুদের তিন-চারদিন ধরে নেমতন্নন। বিয়েবাড়ির ঘর সাজানো, হাওড়া ব্রীজের তলায় জগন্নাথ ঘাট থেকে ফুলের বাজার-কাচা বাজার করা, ক্যাটারারকে তদারকি করা, সব আমাদের দায়িত্ব কারণ এই বন্ধুর দাদা দিল্লিতে কাজ করেন। বিয়ের জন্য কদিন ছুটি নিয়ে এখানে এসেছেন | বৌভাতের পরে একসপ্তাহ বাদে দিল্লি ফিরে যাবেন তার SHR | সে কারণে তার এখানে THA সংখ্যা PT | অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই | আমাদেরই সবকিছু দেখাশোনা করতে হচ্ছে। বন্ধুর সঙ্গে ওর দাদার বিয়ের আগের দিন সকালে কাচা বাজার করতে বেলঘরিয়া বাজারে AR | এমনসময় আমার পিঠে কার হাতের আলতো চাপ পড়লো | ঘাড় ঘোরাতেই দেখি — মাধববাবু, সিউড়ির সেই প্রধান শিক্ষকমশাই ৷ আমি vas উঠে বলি — আপনি এখানে? আমি তো ভাবতেই পারিনি আপনাকে এখানে দেখতে পাব। — আমি তো তাই ভাবতেই পারছিনা | তুমি এখানে? তোমার বাড়ি তো কোলকাতার বৌবাজারে | অনেকক্ষণ ধরে তোমায় দেখছি কিন্তু ভরসা করে ডাকতে পারছিলাম AT কাছে এসে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে তারপর তোমার পিঠে হাত দিলাম | কাছেই আমার বাড়ি | তিনমাস হলো অবসর ACHR | আমার বাড়িতে চলো, ভাত-টাত খেয়ে, গল্প করে বিকেলে ফিরবে | আজ বাজার সেরে আপনার বাড়িটা দেখে COT | কাল বন্ধুর বাড়ি থেকে জলখাবার খেয়ে আপনার বাড়ি দশটা নাগাদ যাব । এখানে বিয়েবাড়ি এসেছি । মাসিমাকে বলবেন, ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা যেন না করে। ঘন্টা দুয়েক গল্প করে আসব | মাধববাবু হতাশস্বরে বললেন — তাই ACI | কাল কিন্তু আসা চাই-ই | পরের দিন সকাল দশটা নাগাদ মাধববাবুর বাড়ি আমি একাই গেলাম | মাধববাবু, মাসিমা, তার ছেলেমেয়েরা আমাকে দেখে খুব খুশী । মেয়ে বি.এ. পাশ করেছে। ছেলেটি স্থানীয় ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজে বি.কম. দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। কিছুক্ষণ গল্পগুজব করার পর মাধববাবু হঠাৎ আমার হাতদুটো ধরে ঝরবঝর করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন | তুমি আমায় বাঁচাও বাবা, খুব বিপদে পড়েছি। তোমাকে গতকাল বাজারে দেখতে পেয়ে ভাবলাম, পরমেশ্বর তোমার সঙ্গে দেখা করিয়ে দিলেন | তুমি তারই ১৩



Leave a Comment