হতাশ হইনি [খণ্ড-১] | Hatash Haini [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পয়সায় এক ভাগা পুঁটি মাছ কিনেছিলাম। এখনকার হিসেবে পাঁচশ গ্রাম। দাম এক পয়সা। মানিকতলায় নেমে Mere স্টিটের বাড়িতে এলাম। এই রাস্তা আমার অপরিচিত নয়। কলেজে উঠে অনেকবার এক একা কলকাতা এসেছি। দিদির বাড়ি অনেকবার গিয়েছি। রামমোহন রায় রোডে জ্যাঠামশাইর বাড়িও গিয়েছি অনেকবার বাগমারিতে একটি ছাপাখানায় আমার সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা বিদ্যার্থী gone দিয়েছিলাম। সে সময় প্রায়ই আসতাম এই রাস্তায় মানিকতলায় নেমে nice স্ট্রিটের বাড়িতে কড়া নাড়লাম। জামাইবাবু বেরিয়ে এলেন | অভার্থনা জানালেন | এসো এসো বাড়ির খবর ভালো তো সব? কাকীমা ভাল? কাকাবাবু এলেন না? বীণাদি ওপরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি গিয়ে প্রণাম করলাম। বীণাদি বললেন তোমার থাকার ব্যবস্থা হয়েছে নিচের QCA | ঘরটা দেখে নেবে BAA | নিচে বাথরুমের পাশে একটা ঘর | উত্তর দিকে একটা জানালা। কিন্তু পাশেই একটি বড় বাড়ি থাকার জন্য আলো হাওয়া কিছুই আসে না। দিনের বেলা আলো সজ্রালতে হয়। ঘরের মধ্যে একটি ক্যাম্প Ais ছিল। কেমন ঘর তা বাছ বিচারের সময় নেই। ভিক্ষের চাল IGT না GAIT তা দেখার অধিকার নেই। আমি যে আশ্রয় পেয়েছি তাতেই আমি sey | আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম। আমি কলকাতায় পৌছে গিয়েছি। দৌড়ের প্রথম রাউন্ডটাতে আমি জিতে গেলাম। দীনেম্দ্র স্ট্রিটের বাড়িতে প্রথম দিনটি দিদিদের সঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করলাম। এবার আমার কাজ হল একটি ভাল খাবার জায়গা খুঁজে বার করা। কারণ রোজ রোজ তো আর দিদি জামাইবাবুর বার্ডেন হওয়া যায় না। মানিক্তলা ব্রিজের ঠিক নিচে ডানধারে একটি রেস্তোরার সন্ধান মিলল। দুবেলা খেতে মাসে যাট টাকা পড়াবে। আমার পকেটে ব্রিশটি মাত্র টাকা। আয় বলতে তরুণ কান্তি ঘোষের দেওয়া মাসের বত্রিশ টাকা মাসোহারা। সেই মাসোহারার পিছনে একটি ইতিহাস আছে। সেটি বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৫৬ সালে | কীভাবে একটি আশা আকাঙ্ক্ষার FCT জন্ম হচ্ছে সেকথা জানতে পারবেন পাঠক। যুদ্ধ আমাকে খালি হাতেই করতে হবে সেই ধারণাই ছিল আমার। যেমন জন্মেছি ক্ষয়িযুণ এক জমিদার বংশে, বিত্তহীন এক পরিবারে এক অব্যবস্থচিত্ত পিতার Wels আমি, তার খেসারত দিতে MISS ছিলাম। কিন্তু কি করে কে যে আমার হাতে কলম ধরিয়ে দিল। বলল যুদ্ধ করো যুদ্ধ করো। পিছন ফিরে দেখো না। এগিয়ে চল সামনে-_ ॥ দুই ॥ হায় চিল সোনালি ডানার চিল দুপুরের খাওয়া সেরে Mitre স্টিটের সেই অন্ধকার ঘরটিতে এসে ঢুকলাম। আলো জ্বালতেই দু'তিনটে ইঁদুর ছুটে পালাল। দেওয়ালে অনেকদিন কলি ফেরেনি। সামনে ১৪



Leave a Comment