ফাঁস | Phans

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বসে দরবারি কানাড়ায় গান গাইছি। গান শেষ হতেই হাততালি আর হাততালি আর বড়ে গোলাম আলি আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খাচ্ছেন আর বলছেন, কেয়াবাত, PANS | মাধুরী।। একদিন তো তাই হয়েছিল। মোহন ।। একদিন, একদিন, বহুদিন, দিনের পর দিন চলে গেল। পড়ে রইল, মোহন দি আ্যান্টিসোশ্যাল। কথা শেষ করেই মোহন উঠে দাঁড়িয়ে, শরীরের দু'পাশে হাত দুটো টান টান করে ছড়িয়ে দিল! ME || শোন, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা of তুমি যে বললে, জামশেদপুরে পালাবে, আমাকে তোমার পিসিমার কাছে রেখে আসবে। আমি বলছি, পালাব কেন, কেন পালাব? অবাক বিস্ময়ে মাধুরীর দিকে তাকিয়ে কথা শুনছিল মোহন। কথা শেষ হওয়া মাত্রই মোহন উত্তেজনায় মাধুরীর দুটো Ae ধরে ঝীকুনি মেরে বলল-_ আমি তো সেই কথাই বলতে চাইছি। মাধুরী, পালাবি কেন? রুখে দাঁড়া, দেখ, লেখাপড়া আমি তেমন করিনি, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এই লাইনটা আমার বেঁচে থাকার মন্ত্র অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে। মোহন আব মাধুরী পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎই মাধুরী বলল, পালাতেই যদি হয় তবে একজনের সঙ্গেই পালাব। মোহন ৷ মানে, এ আবার কী কথা? সে কে? মাধুরী মোহনের ডান গালে তর্জনী দিয়ে টোকা মারতে মারতে বলল, তুমি, তুমি, তুমি। ঠিক সেই সময় রাস্তা দিয়ে কর্পোরেশনের সাইলেন্সার ফাটা ময়লার গাড়ি বিকট শব্দ করতে করতে চলে গেল। দূরে একজন 'লোক বাজখাঁই গলায় ব্রন্কাইটিসের কাশি কাশতে কাশতে নিজেকেই গালাগাল দিচ্ছে- শালার কাশি লাংস দুটো ফেঁড়ে ফেঁড়ে ফেলে দেবে। এই ভদ্রলোকের পল্লীকে কাশি বানিয়ে ছেড়ে দিলে। কাশি আর যেতে হবে না। মোহন ।। নাও, ভোর হতে না হতেই শুরু হল গদাইদার কপচানি। জানিস মাধুরী, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই পাড়ায় ভোরবেলায় সংকীর্তনের দল বেরোত। গাইতে গাইতে যেত-- আর ঘুমায়ো না মন, মায়াঘোরে। কতদিন আর রবে অচেতন। তা তুই এ-কথাটা কী বললি? WA || কোন্‌ কথাটা? ১৬



Leave a Comment