দুঃখের বা সুখের জন্য [সংস্করণ-১] | Duhkher Ba Sukher Janya [Ed. 1]

কোথায় যাচ্ছে, দেখার জন্য তপতী লক্ষ্য করতে লাগল। দূরে ঝুড়িমাথায় এক স্ত্রীলোক দুটো বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের দিকে চলে যাচ্ছে। এমন গভীর স্থর্যাস্ত তপতী কখনো দেখেনি। নিঃসঙ্গতা ঢালু হয়ে দিগন্তে মিশে যাচ্ছে। নিজেকে তার পরিত্যক্ত! বোধ BS | “anta মত জায়গা কোথাও নেই ।” নিখিল বলল। “ওই উঁচু দিকটায় বেশ ঘাস আছে ।” ওরা পাশাপাশি বসল জমির দিকে মুখ করে। বসার আগে রুমাল বিছিয়ে নেয় নিখিল । এই পাটভাঙা ধুতি পাঞ্জাবি পরেই কাল তাকে অফিল যেতে হবে। হুমড়ি খেয়ে পড়ার জন্য হাটুর কাছের কাপড়ে ময়লা! লেগেছে । পাঞ্জাবীতে রক্তের ছোপ 1 তপতী ওর হাত টেনে নিয়ে দেখতে দেখতে বলল, “বিষিয়ে যেতে পারে | বাড়ি গিয়েই stay জলে ধুয়ে ওষুধ লাগাতে হবে ।” শুনে তাচ্ছিল্য ঠোট মোচড়াল নিখিল। জোর বাতাসে পাঞ্জাবিটা বুকের সঙ্গে ATH থাকায় গেঞ্জীর ছেঁড়া গর্তগুলো WB হয়ে উঠেছে । অর্ধনিমীলিত চোখে নিখিল বলল, “ভিত দোতলারই saz) পরে দোতলা তুলে একতলাটা SIV দেওয়া যাবে ।” “রিটায়ার করতে তো বছর বারো বাকি ।” “তাতে কি হয়েছে। যদি ভাড়া দেওয়া যায় তাহলে দেনাগুলো শোধ করতে পারব ৷ প্রভিডেন্ট ফা থেকে তো লোন পেয়েছি মাত্র দেড়হাজার টাকা । বা্যাটারা অনিল বিশ্বাসকে নাইন্টি পারসেণ্ট লোন দিল আর আমার বেলায় নিয়ম দেখাল, ছ'মাসের বেসিকের বেশি দেওয়া যায় না। তেল দিতে পারলে সবই পাওয়া যায়, সবই পাওয়া যায় ।” “না না, ওসব করতে হবে All বরং কষ্টেস্ষষ্টে যেমন চলছে চলুক | তাতে বাড়ি হোক্‌ চাই নাই CAF” নিখিল কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলল, “চরিত্রটাই আসল জিনিস মানুষের । তাই দিয়েই মানুষকে চেনা যায়। অনিল বিশ্বাসদের মত ১২