শ্রীমৎ পুরুষোত্তমনান্দ [সংস্করণ-১] | Shrimat Purushottamananda [Ed. 1]

& প্রথম অধ্যায় ডুবে থাকা। এই ধারণার নেশায় স্বদেশী যুগের বিরাট আন্দোলমকে প্রাণগুলে স্বীকার করতে পারি নি; বৈষয়িক লোকদের করণীয় কর্মজ্ঞানে অবজ্ঞার হাসি হেসে দূরে দূরে গা বাচিয়ে ভালমানুষ সেজেছি। যারা দেশের সেবা করেন, দুভিক্ষে অন্নদান করেন, তাঁদের কতকটা কৃপাপাত্র মনে করতে ক্র করিনি। তথাকথিত ভালমানুষ সাধুর দল যারা কারও ধার ধারে না বা কাহাকেও ধারান না তারাই ছিলেন আমার চক্ষে খুব উচ্চ cata) এই উচ্চ নীচ দর্শন হঠাৎ থেমে গেল, যেদিন করুনার সাগর ভগবান স্ীল্রীনিত্যগোপাল দেবের Roza স্পর্শ আমার সোৌভাগ্যে জুটে ছিল”। ভক্তিমান শরৎকুমার ছুটাতে যখন বাড়ী যাইতেন, সেই সময় তাহাদের বাড়ীর সামনে একটি বকুলগাছ ছিল, তিনি রোজ সেই বকুলফুল তুলিয়া একছড়া করিয়া মালা গাথিয়া তাহাদের বাড়ীতে কালাচীদ বিগ্রহের গলায় পরাইয়া দিতেন। তাহার ভিতর রাধাভাব লুকাইয়াছিল, যদিও তখন তিনি মা মা করিয়া কাদিতেন। পরবর্তী কালে এই বিপ্লবময়ী রাধারাণী তাহার জীবনে জাগ্রত হইয়া তাহাকে পথের বাহির করিয়া ছিলেন । তিনি gee করিয়া আমাদের নিকট বলিতেন, “আমি cate, সরল, লাজুক মানুষ ছিলাম, মাকে ডাকিতাম। আমি ত রাধাকৃষ্ণকে চাহি নাই, কেন তাহারা দুইজন, এ লাল টুকটুকে একটি মেয়ে আর এ একটি ছেলে আমার জীবনে প্রবেশ করিয়া আমার সকল সোয়াস্তি কাড়িয়া লইল? আমি কি